মাদক সচেতনতার পাঠ

বেশ কয়েক বছর আগের এই ঘটনা নাড়া দিয়ে গিয়েছিল ওই পড়ুয়ার পরিচিতদের। পুলিশ ও মাদক বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনেকেই বলছেন, শহরের একাধিক নামী স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা মাদক চক্রে জড়িয়ে পড়ছেন। নেশার টাকা জোগাড়ে অপরাধেও পিছপা হচ্ছেন না তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৭ ১৫:০০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মেধাবী ছাত্রটি উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়েছিলেন। বছর খানেক পরেই তাঁকে তাড়িয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। কারণ, লাজুক স্বভাবের ছেলেটি সেই প্রতিষ্ঠানে পড়তে গিয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন মাদক চক্রে। নিজেও মাদকাসক্ত হয়ে উঠেছিলেন।

Advertisement

বেশ কয়েক বছর আগের এই ঘটনা নাড়া দিয়ে গিয়েছিল ওই পড়ুয়ার পরিচিতদের। পুলিশ ও মাদক বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনেকেই বলছেন, শহরের একাধিক নামী স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা মাদক চক্রে জড়িয়ে পড়ছেন। নেশার টাকা জোগাড়ে অপরাধেও পিছপা হচ্ছেন না তারা। এ সব কথা মাথায় রেখেই এ বারের মাদক বিরোধী দিবসে স্কুল পড়ুয়াদের ভাবনা শুনছে রাজ্য আবগারি দফতর। কলকাতার আটটি নামী স্কুলকে নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। চূ়ড়ান্ত ফলাফল অবশ্য এখনও বাকি। আবগারি দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানান, গত কয়েক বছর ধরে শোভাযাত্রায় স্কুল-কলেজের পডুয়াদের নিয়ে আসা হতো। কিন্তু তাঁরা বুঝেছেন, ওই শোভাযাত্রায় শুধু পোস্টার, ব্যানার হাতে হেঁটে পুরোপুরি সচেতন হওয়া সম্ভব নয়। তার বদলে মাদকের নেশা রুখতে নতুন প্রজন্ম কী ভাবছে তা বোঝা জরুরি।

বস্তুত, মাদক ঠেকাতে নব্য প্রজন্মের কথা শোনার সিদ্ধান্ত এ বার আন্তর্জাতিক মহলেও স্বীকৃত হয়েছে। এ বছর আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত দফতরও নব্য প্রজন্মের কথা শোনার বার্তা দিয়েছে। তাদের মতে, উঠতি বয়সীদের কথা শোনাটাই মাদক রোখার প্রথম ধাপ। মাদক রুখতে উঠতি বয়সীদের সচেতনতা বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকারের নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-ও। তাঅল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতার কারণ কী?

Advertisement

কলকাতার ‘ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রি’-র চিকিৎসক সুজিত সরখেলের মতে, বহু ছেলে-মেয়ে কৌতূহলের বশেই ভালমন্দের বিচার না করে নেশার দিকে ঝোঁকে। মাদক বিরোধী প্রচার নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মী যশ মেটাও একই কথা বলেছেন।

আবগারি দফতর ও এনসিবি-র একাংশ এই যুক্তি মেনে নিয়েছেন। ‘‘কৈশোরেই সচেতন হলে এরা বেশি বয়সেও মাদক থেকে দূরে থাকবে। এলাকাতেও মাদক

ব্যবসা রুখতে পারবে,’’ বলছেন এনসিবি-র আঞ্চলিক অধিকর্তা দিলীপ শ্রীবাস্তব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement