কালীঘাট, আলিপুর ও গড়িয়াহাট দিয়ে শুরু হয়েছিল পুরসভার নৈশ জঞ্জাল অভিযান। এ বার শহরের অন্যত্র সেই কাজ চালাবে পুর প্রশাসন। কী ভাবে শহর জুড়ে সেই কাজ হবে, তার রূপরেখা ঠিক করতে বৃহস্পতিবার পুলিশ এবং পুরসভার বরো চেয়ারম্যান-সহ অন্য অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে তাঁর মূল বক্তব্য ছিল, ‘‘শহর পরিষ্কার রাখতে পুরসভা কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। যাঁরা শহর নোংরা করছেন, এটা তাঁদের মনে রাখা দরকার।’’ এখন পুরসভা নিজে থেকে দিনে ও রাতে জঞ্জাল সাফাই করে দিচ্ছে ঠিকই। তবে এ ভাবে বেশি দিন চলবে না। রাস্তায়, ফুটপাথে যাঁরা জঞ্জাল ফেলছেন, আগামী দিনে তাঁদেরই সাফ করতে হবে। এর জন্য পুরসভা শহরের বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন রেখে দেবে বলে জানান মেয়র।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার জানান, ইতিমধ্যেই শহরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ওই কাজ করছে পুরসভা। রাত ৮টার পরে কালীঘাট, আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে গড়িয়াহাট বাজার পর্যন্ত ফুটপাথে থাকা হকার থেকে রাস্তার পাশে দোকানের সামনে ডাঁই থাকা জঞ্জাল সাফ করছেন পুরকর্মীরা। পুরকর্মীদের সঙ্গে থাকছেন স্থানীয় থানার পুলিশও। তিনি জানান, প্রতি জায়গায় স্থানীয়দের পছন্দমতো স্থানে ২৪০ লিটারের ডাস্টবিন দিচ্ছে পুরসভা। পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকার হকার ও ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, রাতে দোকানপাট বন্ধ করার সময়ে জঞ্জাল রাস্তায় না ফেলতে। শোভনবাবুর ধারণা, এই অভ্যাস কিছু দিন চললে ব্যবসায়ী, হকার ও বাসিন্দারা কিছুটা সজাগ হবেন। তাতেও কাজ না হলে ট্রেড লাইসেন্স আটকে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শোভনবাবু।
দেবব্রতবাবু জানান, এ দিন বরো চেয়ারম্যানদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোন বরোয় কত ডাস্টবিন লাগবে তা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জঞ্জাল অপসারণ দফতরে জানাতে হবে। ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেগুলি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় (যেখানে বাজার ও হকারের সংখ্যা বেশি) রাখা হবে। পুরসভা জানায়, শ্যামবাজার, হাতিবাগান, নিউ মার্কেট, ধর্মতলা, বড়বাজার-সহ একাধিক স্থানে খুব শীঘ্রই ওই অভিযান শুরু হবে।