College Fees

College Fees: কলেজে সম্পূর্ণ ফি মকুবের পথে নানা বাধা

ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পড়ুয়াদের থেকে গ্রন্থাগার, এনএসএস, এনসিসি এবং কালচারাল ফি নেওয়া হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২১ ০৮:৪৩
Share:

ফাইল চিত্র।

করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি মকুবের দাবি বার বার উঠেছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর এবং বি টেক, আইন ও হোম সায়েন্স-সহ যে সব স্নাতক স্তরের পাঠক্রম ওই বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি চালায়, তার ফি-ও মকুব করা হয়েছে। তবে ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, কলেজগুলিকেও ফি মকুব করতে হবে। ইতিমধ্যে সে বিষয়ে কিছু কলেজ কর্তৃপক্ষ ছোটখাটো পদক্ষেপ করলেও ফি সম্পূর্ণ ভাবে মকুব করা সম্ভব নয় বলেই মত অধ্যক্ষ মহলের।

Advertisement

মাসকয়েক আগে শিক্ষামন্ত্রী হয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, অতিমারি পরিস্থিতিতে উপাচার্যেরা যেন ফি কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করেন। ডিএসও, এসএফআই-সহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও বার বার সম্পূর্ণ ফি মকুবের দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষদের বক্তব্য, তাঁদের হাত-পা বাঁধা। সম্পূর্ণ ফি মকুবের জায়গায় তাঁরা দাঁড়িয়ে নেই।

ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পড়ুয়াদের থেকে গ্রন্থাগার, এনএসএস, এনসিসি এবং কালচারাল ফি নেওয়া হবে না। সেখানকার অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘এর বাইরে ফি মকুব করা সম্ভব হচ্ছে না।’’ আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি জানালেন, তাঁদের কলেজে প্রায় ৩০০ জন পড়ুয়া ফি দিতে পারছেন না বলে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের ফি মকুব করা হয়েছে। তিনি জানালেন, রাজ্য সরকার কলেজের স্থায়ী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন দেন। কিন্তু এর বাইরে বাকি সব খরচ কলেজগুলিকেই চালাতে হয়। তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০ জন ক্যাজ়ুয়াল শিক্ষাকর্মী রয়েছেন, যাঁদের বেতন দিতে হয় কলেজকেই। এর সঙ্গে পড়ুয়াদের থেকে ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক রাজ্য সরকারকে দেওয়াটাই নিয়ম। বাকি অর্থ দিয়েই সব খরচ চালাতে হয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে। পূর্ণচন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘সরকার যদি ফি-র অর্ধেক না নেয়, তা হলে আমরাও পড়ুয়াদের থেকে অনেকটাই কম ফি নিতে পারি।’’

Advertisement

সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর জানালেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব ক্লাস অনলাইনে হওয়ায় গত বছর থেকেই ল্যাবরেটরি ফি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন না তাঁরা। কিন্তু অন্যান্য খরচের পাশাপাশি শতাব্দীপ্রাচীন ওই কলেজ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ রীতিমতো ব্যয়সাপেক্ষ। তাই এই পরিস্থিতিতে ফি সম্পূর্ণ মকুব করা অসম্ভব বলেই জানাচ্ছেন তিনি। অতিমারির সময়ে ল্যাবরেটরি ফি নেওয়া হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গীও। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত জানান, গত বছর থেকে পড়ুয়াদের টিউশন ফি মকুব করেছেন তাঁরা। কিন্তু অন্যান্য খরচের পাশাপাশি ২৪ জন ক্যাজ়ুয়াল কর্মীর বেতনও দিতে হয় কলেজকেই। তাই ফি পুরো মকুব করা সম্ভব নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন