গুলি-কাণ্ডে নর্তকীর যোগ পাচ্ছে পুলিশ

নর্তকীকে নিয়ে গোলমাল সেই বিবাদের আগুনে ঘি ঢেলেছে বলেই মনে করছেন লালবাজারের একাংশ। পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই নর্তকীকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৯:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বেনিয়াপুকুর গুলি-কাণ্ডে এ বার এক পানশালার নর্তকীর প্রসঙ্গও উঠে আসছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত শনিবার ওই নর্তকীকে নিয়ে বেনিয়াপুকুর এলাকার দুষ্কৃতী লুল্লাহ হায়দর এবং তার বিরোধী মিরাজুল সাগরের দলবলের গোলমাল হয়েছিল। ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদ আগে থেকেই ছিল। নর্তকীকে নিয়ে গোলমাল সেই বিবাদের আগুনে ঘি ঢেলেছে বলেই মনে করছেন লালবাজারের একাংশ। পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই নর্তকীকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বেনিয়াপুকুর, পার্ক সার্কাস এলাকার দুষ্কৃতীদের হাল-হকিকত নিয়ে কিছু নতুন তথ্যও পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

সোমবার রাতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের পিছনে মেহের আলি রোডে হায়দর ও তার শাগরেদ চাটনি পারভেজকে লক্ষ করে গুলি চালায় এক দল দুষ্কৃতী। দু’জনেই গুলিবিদ্ধ হয়। এই ঘটনায় বুধবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই নর্তকী মধ্য কলকাতার বিভিন্ন পানশালার সঙ্গে যুক্ত। গত শনিবার তাঁকে নিয়ে পার্ক স্ট্রিটের একটি নাইট ক্লাবে গিয়েছিল লুল্লাহ ও তার দলবল। সেখানে হাজির ছিল বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরাও। নর্তকীর সঙ্গে নাচা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা হয়। অভিযোগ, পরে শাহবাজ নামে বিরোধী গোষ্ঠীর এক জনকে মারধর করেছিল লুল্লাহ ও তার দলবল। সেই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

Advertisement

পুলিশের একাংশের দাবি, দুই গোষ্ঠীর সদস্যরাই নির্মাণ ব্যবসায় যুক্ত। আগেও নানা ছুতোয় গোলমালে জড়িয়েছে দু’দলের যুবকেরা, গুলিও চলেছে। নর্তকীকে নিয়ে গোলমালের পরে পুরনো রাগ মেটাতেই হামলা করা হয়েছে। তবে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার একাংশ মনে করছেন, খুনের ছক কষে হামলা হয়নি। তা হলে বুকে বা মাথায় গুলি করা হতো।

শহরে দুষ্কৃতীরাজ ও বেআইনি অস্ত্রের রমরমা নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুলিশ কমিশনার। তাও এমন ঘটছে কী ভাবে? পুলিশের একাংশের ইঙ্গিত, এই দুষ্কৃতীদের অনেকেই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের দুঁদে অফিসারদের ‘সোর্স’। সেই ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়েই এরা বহাল তবিয়তে থাকছে। এমন ঘটনার পর দু’চার জন চুনোপুঁটিকে গ্রেফতার করা হলেও রাঘব বোয়ালদের গায়ে হাত পড়ে না। কলকাতা পুলিশের এক অফিসারের মন্তব্য, ‘‘গিরিশ পার্কে পুলিশের উপরে গোপাল তিওয়ারির হামলার পরেও এমন তথ্য উঠে এসেছিল।’’ যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ লালবাজারের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশকে অন্ধকার জগতে ‘সোর্স’ রাখতেই হয়। কিন্তু তাদের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন