Crime

প্রাক্তন স্ত্রীকে খুন করে অনুতপ্ত নয় শাকিব, দাবি পুলিশের

সোমবার বৃষ্টির রাতে কড়েয়া থানা এলাকার নাসিরুদ্দিন রোডে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত আরিবাকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৪ ০৭:৫৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ছয় মাস আগেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল সোমবার রাতে কড়েয়া থানা এলাকার একটি কাফের সামনে খুন হওয়া আরিবা ইকবাল এবং ঘটনার মূল অভিযুক্ত ইরতিখ শাকিবের। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনে পৃথক থাকা শুরু করলেও স্ত্রীর গতিবিধির উপরে নজর রাখত শাকিব। পরিকল্পনা করেই সোমবার প্রথমে কাফেতে ঢুকে আরিবাকে তাঁর বন্ধুদের সামনে চপার দিয়ে আঘাত করে সে। কোনও রকমে কাফে থেকে বেরিয়ে আরিবা পালাতে গেলে সেখানেও ছুটে গিয়ে ফের তাঁকে কোপায় অভিযুক্ত।

Advertisement

এক পুলিশকর্তা জানান, আরিবাকে খুন করার জন্য কোনও অনুশোচনা নেই শাকিবের। পুলিশের কাছে শাকিবের দাবি, তার জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন আরিবা। অন্য কোনও যুবকের সঙ্গে আরিবার সম্পর্ক সে মেনে নিতে পারেনি বলে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে, পুলিশি জেরার মুখে এমন দাবি করেছে শাকিব। তাই আগে থেকেই মাংস কাটার চপার জোগাড় করে রেখেছিল সে।

সোমবার বৃষ্টির রাতে কড়েয়া থানা এলাকার নাসিরুদ্দিন রোডে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত আরিবাকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত ইরতিখ শাকিবকে ওই রাতেই ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে কড়েয়া থানার পুলিশ।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে অভিযুক্তের সঙ্গে আলাপ আরিবা ইকবালের। ২০১৮ সালে শাকিবের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা রুজু করে আরিবার পরিবার। তখন নাবালিকা আরিবা। পুলিশ পকসো-সহ একাধিক ধারায় শাকিবকে গ্রেফতার করে। পরে জামিন পায় শাকিব। ২০১৯ সালে দু’জনের বিয়ে হয়।

এক তদন্তকারী জানান, একটি দোকানে কাজ করা শাকিবের সঙ্গে আরিবার সম্পর্ক প্রথম থেকেই অম্ল-মধুর। প্রথমে আরিবার পরিবারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া এবং তার পরে তা থেকে মুক্ত হতে বিয়ে করলেও দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন ছিলই। যা থেকে দু’জনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অন্য সম্পর্কে আরিবা জড়িয়েছেন, এমনটা সন্দেহ করেই সোমবার তাঁর উপরে চড়াও হয়ে খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে দাবি ধৃতের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন