—প্রতীকী ছবি
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ফের গাড়িচালকের হাতে আক্রান্ত হল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ টাউনের বিসর্জনঘাটে। গ্রেফতার করা হয়েছে অ্যাপ-ক্যাবের চালক ও তার দুই বন্ধুকে। ধৃতদের নাম পার্থ সাহা, শিবশঙ্কর শর্মা ও সুমন রায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নো পার্কিং জোনে একটি অ্যাপ-ক্যাব দাঁড়িয়েছিল। সেই সময়ে পুলিশের একটি টহলদারি ভ্যান সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশের দাবি, গাড়ি থেকে নেমে এক সাব ইনস্পেক্টর জানতে চান কেন গাড়িটি সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। তার পরে গাড়িচালককে জরিমানা করার জন্য গাড়ির কাগজপত্রও দেখতে চায় পুলিশ। সেই সময়ে ওই চালকের দুই বন্ধু ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের দাবি, পার্থ, শিবশঙ্কর এবং সুমন মিলে পুলিশকে মারধর করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা এবং পুলিশকে মারধরের মামলা রুজু করা হয়েছে।
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে পার্থর দাবি, দুই বন্ধুর অপেক্ষায় কিছু ক্ষণের জন্য গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। পুলিশ এসে মারধর করে তাদের।
শুক্রবার দুপুরেই সল্টলেকের সিএপি ক্যাম্পের কাছে ভুল রুট দিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি গাড়িকে থামতে বলায় এক পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় গাড়িচালক। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক বার সল্টলেক, রাজারহাট-নিউ টাউন, বাগুইআটি এলাকায় পুলিশ, ট্র্যাফিক কর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সল্টলেকে অপরাধ রুখতে ব্লকের ভিতরে অচেনা গাড়ি দাঁড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পুলিশের দাবি, পথ নিরাপত্তা নিয়ে কড়াকড়ির জন্যই এমন বিধিনিষেধ। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, হঠাৎ করে কোনও রাস্তা নো-এন্ট্রি, নো-পার্কিং করায় অনেকেই তা জানতে পারছেন না। ফলে সমস্যাও বাড়ছে।
চালকদের একাংশের দাবি, নিরাপত্তা নিয়ে কড়াকড়ির নামে পুলিশ আসলে ব্যাপক ভাবে তোলাবাজি শুরু করেছে। পাল্টা যুক্তি দিয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম আছে। চালকদের সচেতন করতে নানা ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। সে সব না মেনে পুলিশকে মারধর করা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’’