Old Man

নাচতে বলায় আপত্তি, প্রহৃত প্রৌঢ়-সহ ৩

এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি পাশ দিয়ে সাইকেল নিয়ে যেতে গেলে ওই যুবকেরা তাঁকে জোর করে সাইকেল থেকে নামিয়ে নাচানাচি করতে বলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২১ ০৬:২৯
Share:

প্রতীকী চিত্র।

দোলের দিন পাড়ার ক্লাবের সামনে মত্ত অবস্থায় রং খেলছিল জনা কয়েক যুবক। অভিযোগ, ওই সময়ে এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি পাশ দিয়ে সাইকেল নিয়ে যেতে গেলে ওই যুবকেরা তাঁকে জোর করে সাইকেল থেকে নামিয়ে নাচানাচি করতে বলে। ওই ব্যক্তি প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, আক্রান্তের ভাই ও তাঁর মেয়ে কিছু ক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। সিঁথি থানার পুলিশ এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি তিন জন এখনও ফেরার। পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। এই ঘটনাতেও অবশ্য লেগে গিয়েছে রাজনীতির রং।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন দমদম রোডের বাসিন্দা, বছর পঞ্চাশের সন্দীপ দাশগুপ্ত। অভিযোগ, সেন্টার সিঁথি এলাকায় কয়েক জন মত্ত যুবক তাঁর সাইকেল দাঁড় করায়। তার পরে জোর করে তাঁকে নামিয়ে তাদের সামনে নাচতে বলে। সন্দীপবাবু আপত্তি জানালে তাঁকে চড় মারা হয় বলে অভিযোগ।

তাঁর ভাই সুরজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘ওই সময়ে দাদা আমাকে ফোন করে ঘটনার কথা বলায় আমি তাঁকে বাড়ি যেতে বলি। এর কিছু ক্ষণ পরেই আমি আমার মেয়েকে নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে ঘটনাস্থলে যাই। দেখি, দাদাকে জনা পাঁচেক যুবক ঘিরে ধরে মারধর করছে।’’ সুরজিৎবাবুর কথায়, ‘‘মোটরবাইক থামিয়ে দাদাকে ছাড়াতে গেলে ওরা আমাকেও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয়। এর পরে আমার এগারো বছরের মেয়ে বাধা দিতে গেলে তার চোখে সজোরে ঘুষি মারা হয়। মেয়েও সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় পড়ে যায়।’’ স্থানীয় লোকজন সিঁথি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পিনাকী সেনগুপ্ত ও শান্তনু লাহিড়ী নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। বাকি তিন জন ফেরার।

Advertisement

সুরজিৎবাবুর দাবি, ‘‘আমি বিজেপি কর্মী বলেই তৃণমূলের লোকজন দাদা-সহ আমার মেয়ে ও আমাকে মারধর করেছে।’’ যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিদায়ী কাউন্সিলর ও তৃণমূ‌ল নেতা শান্তনু সেন বলেন, ‘‘পাড়ার ক্লাবের ছেলেদের সঙ্গে ঝামেলায় বিজেপি অহেতুক রাজনীতির রং লাগাতে চাইছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন