সারিসারি: এমন বহু বাস ও গাড়ি করেই আসেন সমর্থকেরা। নিজস্ব চিত্র
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে কলকাতায় ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। কিন্তু শনিবার ব্রিগেড সমাবেশের দিনে ওই নির্দেশ আদৌ মানা হল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশ কর্মীদের একাংশ।
এ দিন কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান এবং বীরভূম থেকে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকেরা বাসে করে ব্রিগেড সমাবেশ যোগ দিতে এসেছিলেন। সমর্থকদের নিয়ে আসা বাণিজ্যিক যানবাহনের বেশির ভাগই এ দিন সরকারি নির্দেশের তোয়াক্কা করেনি বলে অভিযোগ পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের।
তাঁর অভিযোগ, বিএস ৪-এর (ভারত স্টেজ ৪) আগের পর্যায়ের কোনও গাড়ি কলকাতায় ঢুকল এবং বেরোলে তার নথি রাখার নিয়ম। কিন্ত যে ভাবে এ দিন গাড়ি ঢুকেছে, তাতে ওই নথি আদৌ রাখা হয়েছে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
এ দিন তিনি আরও বলেন, ‘‘দূষণ নিয়ন্ত্রণে ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ির প্রবেশ নিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্ত ওই নিষেধাজ্ঞা মানার বিষয়ে কী পরিকাঠামো রয়েছে জানাতে পরিবেশ আদালতে মামলা করব।’’
যদিও পুলিশ কর্তারা সরাসরি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তাঁদের দাবি, সীমিত সংখ্যক পুরনো গাড়ি শহরে ঢুকে থাকলেও সেগুলি এখানে চলেনি। কয়েক ঘণ্টা পরেই সেগুলি শহর থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
শীতের শুরু থেকেই কলকাতার বাতাস কার্যত বিষিয়ে রয়েছে। এ দিনের সমাবেশ তাতে আরও ইন্ধন দিল কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন পরিবেশ কর্মীদের একাংশ। দিন কয়েক আগেই কলকাতায় বাতাসের দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিল প্রশাসন।