টিএমসিপি-র সমাবেশ ঘিরে যানজট শহরে

মুখ্যমন্ত্রী শহরে থাকলেও পারতপক্ষে রবিবার কোনও অনুষ্ঠান রাখেন না। যে কারণে, গত ১৪ অগস্ট কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠান রবিবার পড়ে যাওয়ায় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩৪
Share:

মুখ্যমন্ত্রী শহরে থাকলেও পারতপক্ষে রবিবার কোনও অনুষ্ঠান রাখেন না। যে কারণে, গত ১৪ অগস্ট কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠান রবিবার পড়ে যাওয়ায় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। একই ভাবে রবিবার এড়াতে ২৮ অগস্টের দু’দিন আগে শুক্রবারই তিনি তাঁর দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের জন্য পথে সমাবেশ করলেন। আর সেই জন্য প্রবল যানজটে ভুগল কলকাতা।

Advertisement

কাজের দিনে শহরের কেন্দ্রস্থলে এই রাজনৈতিক সমাবেশের জেরে পার্ক স্ট্রিট, জওহরলাল নেহরু রোড, এস এন ব্যানার্জি রোডে ব্যাপক যানজট হয়। সমাবেশটি ছিল গাঁধী মূর্তি সংলগ্ন মেয়ো রোডে। রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছিল অনুষ্ঠান মঞ্চ। এই কারণে সকাল দশটার পর থেকেই মেয়ো রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ট্রাফিক কর্তাদের দাবি, এই দিন মধ্য কলকাতার কয়েকটি রাস্তা ছাড়া
শহরের অন্য রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিকই ছিল।

শুক্রবার সমাবেশে যোগ দিতে আসা মিছিলগুলি পার্ক স্ট্রিট মোড় ঘুরে মেয়ো রোডে ঢোকে। বেশ কয়েকটি রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় এবং যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়ায় আউট্রাম রোড, ডাফরিন রোডে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এস এন ব্যানার্জি রোডের গাড়িগুলিকে জওহরলাল নেহরু রোড এবং বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট দিয়ে ঘুরিয়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। যানজট হয় বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, এজেসি বসু রোড এবং পরমা উড়ালপুলেও। আশুতোষ মুখার্জি রোড, এজেসি বসু রোড, হরিশ মুখার্জি রোডেও লম্বা লাইন পড়ে যায় গাড়ির।

Advertisement

ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং দিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি খুঁজছিলেন টালিগঞ্জের বাসিন্দা পীযূষ রায়। তাঁর অভিযোগ, যানজটের জন্য ওই সামান্য রাস্তা যেতে ট্যাক্সিচালক তাঁর কাছে দেড়শো টাকা ভাড়া চান। মৌলালি থেকে হাওড়া স্টেশনে
যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলেন বালিগঞ্জের বাসিন্দা বিমান পাল। তিনি বলেন, ‘‘সেই বাসে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা তিনি এস এন ব্যানার্জি রোডে আটকে ছিলেন।’’

এ দিন দুপুরে ডোরিনা ক্রসিংয়ের সব ক’টি মোড়েই দীর্ঘক্ষণ গাড়ি আটকে থাকে। অভিযোগ, মিছিলমুখী যত ছোট ছোট গাড়ি ছিল, তাদের বেশির ভাগই সিগন্যালের তোয়াক্কা করেনি। ট্রাফিক আইন মানেননি মিছিলমুখী ছাত্র-যুবদলও। এর ফলে সিগন্যাল খোলার পরেও গাড়ি ছাড়তে গিয়ে কার্যত হিমসিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে। ডোরিনা ক্রসিংয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে একটি মিনি ট্রাকের চাকা উঠে যায় এক ট্রাফিক কর্মীর পায়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন