প্রতীকী ছবি।
কলকাতার রাস্তা থেকে সোডিয়াম ভেপার, মেটাল হ্যালাইড বাতি উঠে যাচ্ছে। তার বদলে লাগানো হবে এলইডি বাতি। পুরসভা সূত্রের খবর, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের বিল কমাতেই এই পদক্ষেপ। বতর্মানে কলকাতা পুর প্রশাসনকে মাসে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বাবদ দিতে হয়। ক্রমশ এই অঙ্ক বাড়ছে। এ বার তাতে লাগাম টানতে চান পুর কতৃর্পক্ষ। শনিবার পুরসভার এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার জানান, শহরে এলইডি আলো লাগানোর জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই আলো লাগানোর কাজ শুরু হবে। তাঁর দাবি, বর্তমানে সোডিয়াম ভেপার এবং মেটাল হ্যালাইড জ্বালাতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়, এলইডি লাগালে তা অর্ধেক হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, শহরের রাস্তায় এলইডি আলো লাগানোর পরিকল্পনা আগেই জানিয়েছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কোনও কারণে সেই কাজে বিলম্ব হচ্ছিল। গত বুধবার পুরসভার অধিবেশনে সিপিএম কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর প্রশ্ন ছিল, শহরে এলইডি বাতি লাগানোর পরিকল্পনা কি বাতিল হয়ে গিয়েছে? সে দিন পুরসভার আলো দফতরের মেয়র পারিষদ মনজর ইকবাল কেবল জানিয়েছিলেন, পরিকল্পনা বাতিল হয়নি। কিন্তু এ ছাড়া আর কিছু তিনি জানাননি।
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার বাতিস্তম্ভ রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগেই রয়েছে সোডিয়াম ভেপার এবং মেটাল হ্যালাইড আলো। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত মূল কলকাতার বাতিস্তম্ভগুলি থেকে সোডিয়াম এবং মেটাল হ্যালাইড বাতি সরিয়ে লাগানো হবে এলইডি। প্রথম ধাপে প্রায় ৪০ হাজার আলো লাগানো হবে। পরে পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে।
খুলে রাখা বাতিগুলির কী হবে?
পুরসভার এক অফিসার জানান, সংযোজিত কলকাতার বহু এলাকায় এখনও টিউবলাইট জ্বলে। তবে তার সংখ্যা কম। সোডিয়াম ভেপার ও মেটাল হ্যালাইড বাতি ওই সব এলাকায় দেওয়া হবে। সংযোজিত এলাকার কিছু রাস্তায় আলোর অভাব রয়েছে। সে সব জায়গাতেও বেশ কিছু বাতিস্তম্ভ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সোডিয়াম এবং মেটাল হ্যালাইড বাতি কিছু কিছু নষ্টও হয়ে গিয়েছে। তা বাতিলের তালিকায় থেকে যাবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, যে সব সোডিয়াম ভেপার এবং মেটাল হ্যালাইড বাতি সিইএসসি-র বিদ্যুৎ সংযোগে জ্বলে প্রথমে সেগুলি সরানোর দিকেই নজর দেওয়া হবে।