fine

জরিমানা দিতে না পারায় বাস চালককে চড় ট্রাফিক পুলিশের, প্রতিবাদে যাত্রীরা

বকেয়া ‘ট্রাফিক ফাইন’-এর টাকা দিতে না পারায় বাসের চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিসের এক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ দেশপ্রিয় পার্কের কাছে ৩সি/১ রুটের একটি বাসকে আটকান কর্তব্যরত এক সার্জেন্ট

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৩৫
Share:

অভিযুক্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট। —নিজস্ব চিত্র

বকেয়া ‘ট্রাফিক ফাইন’-এর টাকা দিতে না পারায় বাসের চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ দেশপ্রিয় পার্কের কাছে ৩সি/১ রুটের একটি বাসকে আটকান কর্তব্যরত এক সার্জেন্ট। তিনি বাসের চালককে ডেকে তৎক্ষণাৎ বকেয়া জরিমানা দিতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

বাসের চালক পুলিশকর্মীকে জানান, তাঁর কাছে টাকা নেই। তিনি মালিককে জানাবেন। এর পরেও জোর করে জরিমানার টাকা দিতে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ ‘ওয়ান টাইম স্টেলমেন্ট স্কিম’-এর ঘোষণা করে। যে সব গাড়ির বেশ পরিমাণ জরিমানা বকেয়া রয়েছে, তাদের জন্যে এই স্কিমের মাধ্যমে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এ দিন ওই ‘স্কিমে’ টাকা দিতে বলা হচ্ছিল ৩সি/১ রুটের বাস চালককে।

বাসে বসেই ঘটনাটি দেখছিলেন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, বাস চালকের সঙ্গে কথাবার্তা হওয়ার পর, আচমকাই জামার কলার ধরেন ওই পুলিশ অফিসার। তার পরই একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: আচমকা শিবরাজ-জ্যোতিরাদিত্য রুদ্ধদ্বার বৈঠক, মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে তুমুল জল্পনা​

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই ঘটনার পর বাস থেকে নেমে এসে প্রতিবাদ জানান যাত্রীরা। বিষয়টি জানাতে পেরে অন্যান্য বাস চালকেরাও সেখানে পৌঁছে যান। দেশপ্রিয় পার্কের সামনেই বাস দাঁড় করিয়ে দেন তাঁরা। বাসের মালিক এবং চালকদের অভিযোগ, পুলিশে জোর করে টাকা আদায় করতে গিয়ে অধিকারের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আরও বড় আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন বাস সংগঠনের কর্মীরা।

আরও পড়ুন: ইভিএম কারচুপির কৌশল ‘ফাঁস’ হতেই গোপীনাথ মুন্ডের মৃত্যুর তদন্ত দাবি করলেন ভাইপো

কলকাতা পুলিশের এক অফিসার বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ সূত্রে খবর, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধের পর বিক্ষোভ তুলে নেন বাসের কর্মী এবং যাত্রীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement