প্রতীকী ছবি
সপ্তাহান্তে রাজপথে রাজনৈতিক সভা। তা ঘিরে নাকাল হওয়ার আশঙ্কা যথেষ্ট। ফলে ওই দিন কাজে বেরিয়ে কোন পথে চলবেন, তা ভেবেই নাজেহাল শহরবাসী।
কাল, শনিবার ধর্মতলায় শাসক দলের ‘একুশে জুলাই সমাবেশ’। তার জেরে সকাল থেকেই শহরের নানা প্রান্তে স্তব্ধ হতে পারে যান চলাচল। রাস্তার জট এড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত ভিড় হতে পারে পাতালেও। তাই মেট্রো চেপেও স্বস্তিতে যাতায়াত করা যাবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মেট্রো সূত্রের খবর, সে দিন অতিরিক্ত ট্রেন চালানো তো দূর অস্ত্, উল্টে সংখ্যা কমবে। সপ্তাহের কাজের দিনে ৩০০টি মেট্রো চলে, শনিবার চলে ২২৪টি। পুলিশ অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছে, গাড়ির গতি কমলেও একেবারে স্তব্ধ হবে না। ধর্মতলা এড়িয়ে ঘুরপথে চালানো হবে গাড়ি। হাওড়া থেকে আসা উত্তর কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতামুখী গাড়ি গন্তব্যে পাঠানো হবে ঘুরপথে। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ বন্ধ হয়ে গেলে দক্ষিণমুখী গাড়ি গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ অথবা বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট দিয়ে বি বা দী বাগে পাঠানো হবে।
হাও়ড়া পুলিশ কমিশনারেটও জানিয়েছে, পঞ্চাননতলা রোডের দিকে যাওয়া গাড়িগুলির জন্য পথ করা হবে জি আর রোড, আই সি বসু রোড হয়ে ফাঁসিতলা মোড় দিয়ে। এম জি রোড, চার্চ রোড, নিত্যধন মুখার্জি রোডে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও, ধীরে চলা যানবাহনের ক্ষেত্রে ফোরশোর রোড, গ্র্যান্ড ফোরশোর রোড, জি টি রোড, নেতাজি সুভাষ রোড, গিরিশ ঘোষ রোড, অরবিন্দ রোড, জে এন মুখার্জি রোড, আন্দুল রোড, ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাসে ২১শে জুলাই সকাল ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। কলকাতাতেও সে দিন সকাল থেকে পণ্যবাহী গাড়ির উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকছে।
রাজনৈতিক সভা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকার জানান, মোট ছ’হাজার পুলিশকর্মী ও অফিসার দায়িত্বে থাকবেন সে দিন শহরের নানা প্রান্তে। সভায় যোগ দিতে আসা কর্মীদের জন্য ২১টি অতিথিশালা ও ৩২টি ক্যাম্প অফিসে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মিলনমেলা, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ সভাগৃহ, ভিক্টোরিয়া হাউসের চারপাশে থাকা কর্মীদের জন্যও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ১৮টি অ্যাম্বুল্যান্স, ১০টি ড্রপ গেট, আটটি সিজার ব্যারিকে়ড থাকছে। আটটি জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। তিনটি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ থাকছে। ১০টি ‘জোন’-এ ভাগ করা হয়েছে সভাস্থলের আশপাশের চত্বর। সিইএসসি-র সদর দফতরের ছাদে ‘সাব কন্ট্রোল রুম’ তৈরি হবে। তবে উড়ুক্কু যান বা ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার করা হবে না। সভাস্থলের চারপাশে চারটি ‘রিজার্ভ ফোর্স’ থাকবে, থাকবে বম্ব স্কোয়াড, কুকুর, সাদা পোশাকের পুলিশ। ১০টি মেট্রো স্টেশনে বিশেষ নজরদারি থাকবে। ভিড় সামলাতে অতিরিক্ত সাড়ে তিনশো রক্ষী রাখছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষও। সমন্বয়ের জন্য মিছিলের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে কলকাতা পুলিশ।