গ্রাহক এবং ক্রেতাদের আশ্বস্ত করে সোমবার মাঝ রাত থেকে ট্রাক ধর্মঘট উঠে গেলেও শহরে বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল না। বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ধর্মঘট উঠে গেলেও ট্রাক চলাচল স্বাভাবিক না হওয়াতেই এই বিপত্তি। ফলে মঙ্গলবারও শহরের বিভিন্ন বাজারে ডিমের আকাল ছিল। মাছ সহ অন্যান্য সব্জির দাম ছিল চড়া।
শিয়ালদহে ডিমের পাইকারি বাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পাঁচটি ডিমের ট্রাক ঢুকেছে। প্রতি গাড়িতে ১১০০টি পেটি ছিল। একটি পেটিতে ২১০টি করে ডিম থাকে। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার পাইকারি বাজারে দুই লক্ষ একত্রিশ হাজারটি ডিম আসে। পাইকারি বাজারের ডিম বিক্রেতাদের আশা ট্রাক ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় বুধবারই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
এই দিন শহরের বিভিন্ন বাজারে মাছের দাম ছিল চড়া। কাটা পোনার কিলো ছিল ৩০০ টাকা। আর গোটা কাতলা বিক্রি হয় ২৫০ টাকা দরে। পাবদা ৫০০ টাকা, পমফ্রেট ৪৫০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০ টাকা, তপসে পমফ্রেট ৫৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়।
শিয়ালদহের পাইকারি মাছের বাজারে সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলার দিকে অন্ধ্র প্রদেশ থেকে মাত্র পাঁচ ট্রাক মাছ আসে। স্বাভাবিক দিনে ১৫ থেকে ১৬ ট্রাক মাছ ঢোকে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতি দিন নয় থেকে দশ হাজার কেজি মাছ ঢোকে বলে এই বাজারে।
মানিকতলা বাজারের মাছ বিক্রেতা মোহন বাগ বলেন, ‘‘কয়েক দিন হল পাইকারি বাজারে গিয়ে আমাদের মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে হয়। বিভিন্ন ধরনের মাছের দাম প্রায় প্রতি কিলো ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। তার উপরে কমে গিয়েছে জোগানও।’’
এই দিন শহরের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কিলো ৭০ টাকা। বাঘাযতীন বাজারের সব্জি ও আনাজ বিক্রেতা সঞ্জীব পাল, কৃষ্ণ শাসমল জানান, পাইকারি বাজারে সব্জির দাম খুব চড়া। গত কয়েক দিন ধরেই বাজারে সব্জি খুব কম আসছে। ট্রাক ধর্মঘটের কারণেই এই হাল হয়েছিল। এ বার হয়তো স্বাভাবিক হবে।
যাদবপুর, গড়িয়াহাট, মানিকতলা বাজারে ১০০ গ্রাম কাঁচা লঙ্কার দাম ছিল ১২ টাকা। পটল ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা এবং টম্যাটো ৭০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়।