জলের বোতলে নকল ছাপ

নকল জলপান! স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এখন বহু মানুষ নামী সংস্থার সিলবন্দি বোতল বা জারের জল গ্যাঁটের কড়ি খসিয়ে কিনে পান করেন। কিন্তু সব বোতল বা জারের জল কি সত্যি সত্যিই সেই সংস্থার তো!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০০:১৮
Share:

নকল জলপান!

Advertisement

স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এখন বহু মানুষ নামী সংস্থার সিলবন্দি বোতল বা জারের জল গ্যাঁটের কড়ি খসিয়ে কিনে পান করেন। কিন্তু সব বোতল বা জারের জল কি সত্যি সত্যিই সেই সংস্থার তো!

একটি নামী সংস্থার সিল, মোড়ক, ছাপ নকল করে ২০ লিটারের জারে জল ভরে বিক্রি করার অভিযোগে নিউ টাউন থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি) জানিয়েছে, আর্সেনিক দূষণের আশঙ্কা আছে, এমন ভূগর্ভস্থ জল পাম্প করে তুলে, নিম্ন মানের ফিল্টারে শোধন করে নামী সংস্থার বলে বিক্রি করা হত।

Advertisement

নিউ টাউনের হাতিয়াড়া পূর্ব পাড়ায় ওই নকল জলের কারখানা চলছিল আড়াই বছর ধরে। জারের গায়ে উৎপাদনের তারিখ, সময়, ব্যাচ নম্বরও লেখা। ইবি-র এক কর্তার কথায়, ‘‘দেখে বোঝার উপায় নেই, ওটা নকল।’’

সোমবার নকল জলের কারখানায় হানা দিয়ে জালিয়াত সংস্থার মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছেন ইবি-র অফিসাররা। ইবি জানায়, সংস্থাটির মালিক মহম্মদ হাসেম মণ্ডল ও ম্যানেজার হাসমত রহমান। ধৃতদের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইবি জানায়, প্রতি গাড়িতে ৪০টি জার নিয়ে তিন-চারটি গাড়ি কারখানা থেকে বেরোত। নকল জলভর্তি জার প্রতিটি ৭০ টাকায় দোকানে বিক্রি করত জালিয়াতেরা। দোকান থেকে সেগুলি ক্রেতার কাছে যেত জার পিছু ৯০ টাকায়। ভূগর্ভস্থ জল পাম্প করে তুলে, ‘শোধন’ করে ২০ লিটারের জারে ভরে সিলবন্দি করা হত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement