মাদক পাচারে ধৃত ২

পরিকল্পনা ছিল, রাতে বাইপাসের উপরে ডিলারের হাতে মাদক তুলে দেওয়া হবে। খবর পৌঁছে গিয়েছিল লালবাজারের নার্কোটিক্স বিভাগের গোয়েন্দাদের কা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৮ ০২:২০
Share:

প্রতীকী ছবি

পরিকল্পনা ছিল, রাতে বাইপাসের উপরে ডিলারের হাতে মাদক তুলে দেওয়া হবে। খবর পৌঁছে গিয়েছিল লালবাজারের নার্কোটিক্স বিভাগের গোয়েন্দাদের কাছে। ফলে সোমবার মাদক পাচার করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ল দুই পাচারকারী। ধৃতদের নাম অমিত দত্ত এবং নাদিম আহমেদ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছে প্রায় ২৫০ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যার বাজারদর আনুমানিক সাড়ে চার লক্ষ টাকা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, যে হেরোইন আটক হয়েছে সেটি ‘র’ হেরোইন। অমিত ওই মাদক নাদিমকে দেওয়ার জন্য এনেছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ‘র’ হেরোইন’ আসে মুর্শিদাবাদের লালগোলা থেকে। ডিলারেরা এর সঙ্গে ভূষি, কাঠের গুঁড়ো বা নস্যি মিশিয়ে পরিমাণে বাড়িয়ে নেয়। পরে ওই হেরোইনের পুরিয়া তৈরি করে ছাড়া হয় খুচরো বিক্রেতাদের হাতে। বাজারে ওই পুরিয়া মেলে ১০০-১৫০ টাকায়। গোয়েন্দারা জেনেছেন, ‘র’ হেরোইন সাধারণ ক্রেতাদের হাতে যায় না। কারণ, প্রথমত তার দাম আকাশছোঁয়া। দ্বিতীয়ত, ওই মাদক অত্যন্ত সতর্ক ভাবে নিতে হয়। সামান্য ভুলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ডিলারেরা ‘র’ মাদক এনে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। তা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফের মতো এলাকায়। সেখান থেকে পুরিয়া হয়ে ফের শহরে আসে।

পুলিশ জানায়, শিয়ালদহ স্টেশন এবং সংলগ্ন অঞ্চল ছাড়াও হাওড়া সেতু সংলগ্ন মল্লিকঘাট ফুলবাজারের মতো নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে ঘুরে বেড়ায় ওই মাদক বিক্রেতারা। কিন্তু দু’-তিনটি নির্দিষ্ট জায়গা কেন বেছে নেয় বিক্রেতারা? গোয়েন্দাদের দাবি, ওই সব এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার একাধিক পথ রয়েছে। তা ছাড়া, ওই জায়গায় এত ভিড় থাকে যে পুলিশ পৌঁছনোর খবর পাওয়া মাত্রই -ঢাকা দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন