দিল্লি থেকে ১৭৬টি মোবাইল নিয়ে দুরন্ত এক্সপ্রেসে চেপেছিল রিঙ্কু আর সাজাহান।
বিধাননগর কমিশনারেটের আতস কাচ নজর রাখছিল তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর। রিঙ্কু, সাজাহান অবশ্য ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি সে কথা। হাওড়া অবধি ফুরফুরে যাত্রা। স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে মালদহের বাস ধরতেও কোনও সমস্যা হয়নি। বাইপাস ধরে বাস পরিবেশ ভবনের কাছে পৌঁছতেই বিনা মেঘে বজ্রাঘাত। পুলিশ বাসে উঠে বমাল ধরে ফেলল দুই চোরা কারবারিকে।
ধৃত রিঙ্কু শেখ ও সাজাহান মোমিন মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, দিল্লির করোল বাগে একটি চোরাই মোবাইল কেনাবেচা চক্রের থেকে তারা কম দামে মোবাইল কিনত। তার পর চড়া দরে বিক্রি করে দিত বাংলাদেশের একটি চোরাচালান চক্রের কাছে। চুরি হওয়া মোবাইল এদের হাত দিয়ে বিদেশে চলে যাওয়ায়, কিছুতেই ওই মোবাইলগুলিকে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে উদ্ধার করা যেত না। রিঙ্কু, সাজাহানদের চক্রটির খবর কিছুদিন আগেই পায় পুলিশ। তার পর থেকে খুব সন্তর্পনে নজর রাখা হচ্ছিল তাদের গতিবিধির উপর। অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় জালে আটকায় চোরাপাচার চক্রের দুই রাঘব বোয়াল। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, করোল বাগ থেকে মোট ১১ লক্ষ টাকায় ওই ১৭৬টি মোবাইল কিনেছিল তারা। কালিয়াচক ফিরে বাংলাদেশী চক্রের কাছে সেগুলি প্রায় ২০ লক্ষ টাকায় তাদের বিক্রি করার কথা ছিল।
এই দু’জন ছাড়াও এই চোরাই মোবাইল পাচার চক্রে আরও কয়েক জন রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের জেরা করে তাদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।