বিস্ফোরণের অভিঘাতে ফেটে গিয়েছে রাস্তার উল্টো দিকের দোকানের শাটার।—নিজস্ব চিত্র।
নাগেরবাজার বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সকেট বোমা প্রায় আট ইঞ্চি লম্বা এবং চার ইঞ্চি ব্যাসার্ধের লোহার পাইপে তৈরি করা হয়েছিল বলে সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াডের প্রাথমিক ধারণা। যার ওজন প্রায় দু’কেজি। সাধারণত এত বড় সকেট বোমা হয় না বলেই স্কোয়াডের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন।
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে যান সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল অ্যান্ড ডিটেকশন সেন্টারের আধিকারিকেরা। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। সকেট বোমাটি যে চটের ব্যাগে ছিল, পোড়া অবস্থায় সেই ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, কমপক্ষে আট ফুট উঁচু কোনও জায়গায় বোমা-সহ ব্যাগটি ঝোলানো ছিল। তা মেঝেতে পড়ে যাওয়ায় বিস্ফোরণ ঘটে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমাটিতে ‘সপ্লিন্টার’ হিসেবে তারের জালকাঠি ব্যবহার করা হয়েছে। যা আহতদের দেহ থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।
সিআইডি সূত্রের খবর, ওই ধরনের বোমায় মশলা হিসেবে চিনি এবং গ্লিসারিন ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। সামান্য পরিমাণে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশলেই আগুন জ্বলে ওঠে। পরিমাণে বেশি হলে বিস্ফোরণ ঘটে। চিনি মিশলে বিস্ফোরণের মাত্রা আরও কয়েক গুণ বাড়ে। এ ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করছে সিআইডি।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় মানুষের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র