ছবি: নিজস্ব চিত্র।
অফিসের ব্যস্ত সময়ে শহরের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাস্তা অবরোধের জেরে মঙ্গলবার শহরবাসীদের ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হল। অফিস যাত্রীদের পাশাপাশি আটকে পড়ে বিভিন্ন স্কুল পড়ুয়ারাও।
এ দিন সকালে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের অভিভাবকদের একাংশ। কারণ স্কুলের সেকেন্ডারি বিভাগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল যে, তারা পঞ্চম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করবে। এতেই আপত্তি অভিভাবকদের। রূপসা চক্রবর্তী নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আমাদের বাচ্চারা প্রাইমারিতে ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়ল। তার পর তাদের ওই স্কুলেই ক্লাস ফাইভে ভর্তি নিশ্চিত নয়! লটারির মাধ্যমে ভর্তি হতে হবে কেন!” সকাল সাতটা থেকে বিক্ষোভ শুরু হলেও তার তীব্রতা বাড়ে সকাল ১০টা নাগাদ যখন সেকেন্ডারি বিভাগের পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসতে শুরু করেন।
প্রায় শ’তিনেক বিক্ষোভকারী অভিভাবক দাবি জানাতে থাকেন ওই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়াদের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিক্ষোভকারীরা হঠাৎই রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। অফিসের সময়ে অবরোধের ফলে আটকে পড়েন অফিস যাত্রীরা। ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যাদবপুর থানার পুলিশ। পুলিশ মধ্যস্থতা করে অবরোধ তোলার চেষ্টা করলেও অভিভাবকরা তাঁদের দাবিতে অনড় থাকেন এবং অবরোধ চালিয়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে পৌঁছন কসবা থানার ওসি দেবাশিস দত্ত এবং বিভাগীয় ডিসি সন্তোষ নিম্বলকর। তাঁরা দফায় দফায় অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করার পর প্রায় এক ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।
অবরোধের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন যাদবপুর বিদ্যাপিঠের সিনিয়র সেকশনের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য। অভিভাবকদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন তিনি। পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাইকে চড়িয়ে স্কুলে পৌঁছে দেয়। পুলিশ কর্তাদের মধ্যস্থতায়, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।