ঘটনার পরে ভগবতী দেবী।
বাপের বাড়ি এসে পাশের গঙ্গার ঘাটে কাপড় কাচতে গিয়েছিলেন ভগবতী দেবী। মায়ের সঙ্গে গিয়েছিল ছয় আর আট বছরের দুই কন্যাও। কাপড় কেচে বাড়ি ফিরে আসার পরে মায়ের হঠাৎ খেয়াল হয়, দুই মেয়ে তাঁর সঙ্গে গঙ্গার ঘাটে গিয়েছিল বটে, কিন্তু তাঁর সঙ্গে ফিরে আসেনি। এর পরে মেয়েদের খুঁজতে লোকজন নিয়ে দ্রুত গঙ্গার ঘাটে ফিরে আসেন মা। তাদের কোথাও দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় গঙ্গায় নেমে তল্লাশি শুরু করেন কয়েক জন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই জল থেকে উদ্ধার হয় দু’টি শিশুর নিথর দেহ।
সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে হাওড়া ফোরশোর রোডের পাশে বিচালিঘাট এলাকায়। পুলিশ জানায়, কয়েক দিন আগে স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বিচালিঘাট এলাকায় বাপের বাড়িতে এসেছিলেন ভগবতী। এ দিন সকালে তিনি ঘাটে কাপড় কাচতে যান দুই মেয়ে সৃষ্টি (৬) এবং সোনালকে (৮) সঙ্গে নিয়ে। কাপড় কাচার পরে ওই মহিলা যখন বাড়ি ফিরে আসেন, তখনই তাঁর খেয়াল হয়, দুই মেয়ে ফেরেনি। এর পরে খোঁজ পড়ে দুই শিশুর। পুলিশ জানায়, গঙ্গা থেকে উদ্ধারের পরে শিশু দু’টিকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভগবতীর প্রতিবেশী গুড়িয়াদেবী বলেন, ‘‘ও যখন কাপড় কাচছিল, তখন বাচ্চা দু’টো কোনও ভাবে জলে পড়ে তলিয়ে যায়। বাড়ি ফিরে আসার পরে ও বলে বাচ্চাদের খুঁজে পাচ্ছে না। তখনই খোঁজখবর শুরু হয়।’’ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।