প্রতীকী ছবি।
কারা তার উপরে যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল, পুলিশকে ছবি দেখিয়ে জানিয়েছিল চার বছরের শিশুটি। তার ভিত্তিতেই জিডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশনের দুই শিক্ষক অভিষেক রায় ও মহম্মদ মফিজউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু জেরার মুখে আগাগোড়া দু’জনেই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
যদিও অন্য একটি সূত্রের দাবি, অভিযুক্তদের বক্তব্যে বিস্তর অসঙ্গতি মিলেছে। যখন ওই ঘটনা ঘটে, তখন তাঁরা কোথায় কার সঙ্গে ছিলেন, তার স্পষ্ট উত্তরও পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের বক্তব্য যাচাই করতে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। কথা বলা হবে প্রিন্সিপ্যাল শর্মিলা নাথের সঙ্গেও।
শনিবার অভিযুক্তদের আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের দু’দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই স্কুলে ছোটদের জন্য দু’টি শিফ্ট আছে। নির্যাতিত শিশুটি দ্বিতীয় শিফ্ট অর্থাৎ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত স্কুলে থাকে। পুলিশ জেনেছে, দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টের মধ্যেই শৌচাগারে যৌন নিপীড়ন চলে। কিন্তু অভিষেক ও মফিজউদ্দিন প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তাঁরা এমন করতে যাবেন! পুলিশ জানাচ্ছে, ওই দু’ঘণ্টা শিশুটির গতিবিধি ও অবস্থান জানতে ক্লাস টিচারের সঙ্গে কথা বলা হবে।