UGC

প্রেম, ধর্মের পাঠ দিতে পাঠ্যক্রম ইউজিসি-র

আর কিছু দিনের মধ্যেই প্রেম, ধর্ম ও করুণা সম্পর্কিত পাঠ নেবেন কলেজপড়ুয়ারা।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২১ ০৬:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি। —ফাইল চিত্র

আর কিছু দিনের মধ্যেই প্রেম, ধর্ম ও করুণা সম্পর্কিত পাঠ নেবেন কলেজপড়ুয়ারা।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের ‘সফট স্কিল’ বাড়ানোর জন্য ‘লাইফ স্কিল’ (জীবন কৌশল)-এর উপরে একটি পাঠ্যক্রম তৈরি করেছে। ইউজিসি-র সচিব রজনীশ জৈন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের যোগাযোগের দক্ষতা, পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্ব দান ও পরিচালনার দক্ষতা এবং মানবিক মূল্যবোধ বাড়ানোর লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে এই পাঠ্যক্রম। তাতেই রয়েছে ধর্ম, প্রেম ও করুণা নিয়ে পরিচ্ছেদ। মানবিক মূল্যবোধের অংশ হিসেবে সেগুলি পড়ানো হবে।

এই ‘জীবন কৌশল’ শিক্ষকেরা কী ভাবে পড়াবেন, ইউজিসি-র ওয়ার্কিং গ্রুপ তার একটি খসড়াও তৈরি করেছে। ওই খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রেম বলতে অনেকেই রোম্যান্টিক সম্পর্ক বা কামনা-বাসনা মনে করেন। তাই প্রেমকে এ বার পড়ুয়াদের কাছে দয়া, সহমর্মিতা ও করুণা হিসেবে তুলে ধরবেন শিক্ষকেরা। পড়ুয়াদের তা বোঝাতে দেওয়া হবে গৌতম বুদ্ধ এবং জিশু খ্রিস্টের উদাহরণ। ধর্মশিক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে বলে ওই খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্মকে সেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে সঠিক আচরণ হিসেবে। নৈতিক আচরণ, ভাল কাজ করা, ভাল দেখা, ভাল থাকা— এ সব পড়ানো হবে ধর্মের পরিচ্ছেদে। এর সঙ্গে ত্যাগ, অহিংসা, শান্তি, সেবাও পাঠ্যক্রমে রয়েছে।

Advertisement

পড়ুয়াদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ‘ডিজিটাল লিটারেসি’র উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকরী ব্যবহারও শেখানো হবে তাঁদের। ‘ডিজিটাল লিটারেসি’র ক্ষেত্রে ডেটা-সুরক্ষা এবং ভুয়ো ডেটাকে সামলানোর মতো বিষয়গুলি পড়ানো হবে। প্রথমেই ইন্টারনেট ব্যবহারের পাঠ দেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কী ভাবে করতে হবে, সেখানে হবে তা-ও। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সুফল সম্পর্কেও বোঝানো হবে পড়ুয়াদের। এর সঙ্গেই শেখানো হবে ডিজিটাল বিপণনের কৌশল। পেশাগত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ ও প্রেজেন্টেশনের দক্ষতা বাড়ানোর কৌশল শেখানো হবে। তার সঙ্গে শেখানো হবে সামাজিক আদবকায়দাও।

এই পঠন-পদ্ধতির খসড়া সম্পর্কে শিক্ষক, পড়ুয়া, গবেষকদের কাছ থেকে মতামত চেয়েছে ইউজিসি। ৩১ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে হবে। নতুন এই পাঠ্যক্রম আট ক্রেডিটের। এই পাঠ্যক্রমের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১২০ ঘণ্টা। তার মধ্যে শিক্ষকদের এই পাঠ্যক্রম শেষ করাতে হবে। আপাতত ইউজিসি এই খসড়া নিয়ে মতামত চাইছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন