দেবব্রত চক্রবর্তী
এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম দেবব্রত চক্রবর্তী (৫২)। তিনি প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দফতরের পদস্থ আধিকারিক ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বাঁকুড়ার বাসিন্দা দেবব্রতবাবু বেলগাছিয়ার সরকারি আবাসনে একাই থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা নাগাদ বাঁকুড়া থেকে তাঁর স্ত্রী বারবার মোবাইলে ফোন করলেও তা বেজে যাওয়ায় আবাসনেরই দোতলার এক বাসিন্দাকে ফোন করেন তিনি। ওই
আবাসিক তিনতলায় দেবব্রতবাবুর দরজায় অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় অন্য আবাসিক ও নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকেন। দরজা ভেঙে দেখা যায়, বিছানায় অচৈতন্য পড়ে রয়েছেন দেবব্রতবাবু। পুলিশ এসে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দেবব্রতবাবু হার্টের রোগে ভুগছিলেন। নিয়মিত ওষুধও খেতেন। হৃদপিণ্ড বিকল হয়েই তাঁর মৃত্যু হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ সূত্রের খবর, সোম থেকে শুক্রবার বেলগাছিয়ার ওই আবাসনে থাকতেন দেবব্রতবাবু। শুক্রবার রাতে বাঁকুড়ায় ফিরে যেতেন। তাঁর এক পুত্র ও কন্যা রয়েছেন।
এ দিন দেবব্রতবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন তাঁর সহকর্মী ও সহপাঠীরা। বেলগাছিয়া প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে প্রাণীবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন দেবব্রতবাবু। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুনীত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘প্রাণী বিজ্ঞান সংক্রান্ত নানা বিষয়ে উনি নিয়মিত খবর রাখতেন।’’ অন্য এক অধ্যাপক শৈবাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁর হঠাৎ চলে যাওয়ায় ক্ষতি হয়ে গেল।’’