কালীপুজোর মণ্ডপের গেটের দখল নিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল হল এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে আলিপুরের গোপালনগরে। ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’জন। আলিপুর থানায় চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাতে গোপালনগরের একটি ক্লাবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রতাপ সাহার উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সেখান থেকে ফেরার পথে তৃণমূলেরই অন্য এক স্থানীয় নেতা সাহেব দাসের অনুগামীর হাতে প্রহৃত হন প্রতাপের অনুগামী দুই তৃণমূল কর্মী বিজয় মল্লিক এবং পর্ণ রাও। বিজয়ের অভিযোগ, ‘‘শনিবার রাত দশটা নাগাদ গোপালনগর থেকে বা়ড়ি ফেরার পথে সাহেবের অনুগামী সানি, পিন্টু, রবার্ট ও সঞ্জয়রা আমাকে রাস্তায় ফেলে ঘুষি মারে। লাঠির আঘাতে আমার বাঁ হাত ভেঙে যায়।’’ পিন্টু ছাড়াও আরও এক যুবক পর্ণ রাওকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে তাঁর শরীরে একাধিক আঘাত হয়েছে।
প্রতাপের দাবি, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় কালীপুজো করছি। সেই মতো চেতলা বাজারের কাছে একটা বড় গেট তৈরি করি। এ বার সাহেব নিজের পুজোর জন্য চেতলা বাজারের কাছের গেটটা নিজেদের দখলে নিতে চাইছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই গেট নিজেদের দখলে নিতে চাওয়া নিয়ে দিন দুয়েক আগে থেকেই এলাকায় উত্তেজনা চলছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মণ্ডপের গেট নিজেদের দখলে নিতে শনিবার রাতে প্রতাপদের বিজয়া সম্মিলনীর শেষে তাঁর অনুগামীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন সাহেবের সাঙ্গোপাঙ্গরা। এ প্রসঙ্গে প্রতাপের অভিযোগ, ‘‘ওরা পরিকল্পনামাফিক আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করতে চেয়েছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সবটাই ধরা প়়ড়েছে। হাতের কাছে দু’জনকে পেয়ে তাঁদের মারধর করেছে। পরে আমরা ধাওয়া করতেই ছুটে পালিয়েছে।’’
এ প্রসঙ্গে সাহেব বলেন, ‘‘প্রতাপ বাইরে থেকে লোক এনে গোলমাল পাকিয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’