এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই আক্রান্ত হলেন উপাচার্য সহ শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। উপাচার্যের সামনেই মার খেলেন শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা। অভিযোগের তির তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দিকেই। এই ঘটনায় শিক্ষকরা আহত হন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সংগঠন (কুটা) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসার হরিসাধন ঘোষের সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে এবং এই পদের বিলুপ্তি চেয়ে উপাচার্যের ঘরের সামনে একটি অবস্থান বিক্ষোভ করার কথা ছিল। অভিযোগ, বেলা বারোটা নাগাদ তাঁরা এলে দেখেন, উপাচার্যের ঘরের সামনে বহিরাগত বেশ কয়েকজন ছেলে বসে আছেন। অভিযোগ, তাঁরা বহিরাগত এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য।
কুটার প্রতিনিধিরা তাঁদের সরে যেতে বলায় তাঁরা সরেননি। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাগবিতন্ডা। কুটার সদস্যরা উপাচার্যের ঘরের সামনে না প্রবেশ করে বাইরে থাকেন। একটু পরে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এলে কুটার প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গেই ভেতরে প্রবেশ করেন। অভিযোগ, এই সময়ে টিএমসিপির সদস্যরা তাঁদের বাধা দেন এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের মারেন। কুটার সম্পাদক দিব্যেন্দু পালও আক্রান্ত হন। উপাচার্য টিএমসিপির সদস্যদের শান্ত হতেও বলেন। এমনকী, উপাচার্যকেও টিএমসিপির সদস্যরা ধাক্কা মারেন বলেও অভিযোগ। যদিও এই ব্যাপারে উপাচার্য কোনও মন্তব্য করেননি। এর পরেই, ঘটনাস্থলে আসেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা আন্দোলন করছিলেন তাঁরা সিপিএমের লোক। এঁরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি পরিবেশ তৈরি করেছে। টিএমসিপি এর প্রতিবাদ করছিল। টিএমসিপির দু’জন সদস্যও আহত হয়েছেন।”