VC Gherao

ঘেরাওমুক্ত উপাচার্য, কর্মবিরতির ডাক জুটা-র

কর্মসমিতির বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষার পরিবর্তে শুধুমাত্র নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর। বুধবার বিকেল থেকে প্রবেশিকার দাবিতে ঘেরাও করে রাখা হয় উপাচার্যকে। উপাচার্যের সঙ্গে ঘেরাও হয়ে আছেন সহ-উপাচার্যও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ২০:৩৩
Share:

ঘেরাও উপাচার্য। নিজস্ব চিত্র।

প্রবেশিকা পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ঘেরাও-বিক্ষোভকে বেআইনি ঘোষণা করে কলা বিভাগের মেধাতালিকা এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার দিন ক্ষণ ঘোষণা করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল যাদবপুরে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ঘেরাও হয়ে ছিলেন উপাচার্য। যদিও রাতেই তিনি বাড়ি চলে যান। বাধা না দিলেও অবস্থান বিক্ষোভ জারি রেখেছে পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উপাচার্য জানিয়েছিলেন, প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই ছাত্র ভর্তি হবে। পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই ১৯ জুলাই কলা বিভাগের মেধা তালিকা প্রকাশ হবে। আর তার পর আগামী ২৭, ২৮, ৩০ এবং ৩১ জুলাই ভর্তি নেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের। ১ অগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসও শুরু হবে।

এদিকে কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের পাশে এসে দাঁড়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন জুটা। তাঁরা শুক্রবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। পাশাপাশি গান্ধীভবনের সামনে তিন ঘন্টার অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলেও জানিয়েছে জুটা। নতুন পদ্ধতিতে ভর্তির প্রক্রিয়া আটকাতে দরকারে আইনি পথে লড়াইয়ের কথাও ভাবছেন তাঁরা। ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপকেরা আরও একধাপ এগিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে পড়ুয়ারাও জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর তিনটের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে তাঁরা অনশনে বসবেন।

Advertisement

কর্মসমিতির বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষার পরিবর্তে শুধুমাত্র নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর। বুধবার বিকেল থেকে প্রবেশিকার দাবিতে ঘেরাও করে রাখা হয় উপাচার্যকে। উপাচার্যের সঙ্গে ঘেরাও হয়ে ছিলেন সহ-উপাচার্যও। পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট উপাচার্য। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ভর্তির প্রক্রিয়া কী পদ্ধতিতে হবে সে বিষয়ে পড়ুয়াদের নাক গলানোর কোনও অধিকার নেই। গণতান্ত্রিক ভাবে পড়ুয়ারা আন্দোলন চালাতেই পারে কিন্তু বিক্ষোভ-ঘেরাও সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অনৈতিক। ভর্তি নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠকে যা স্থির হয়েছে উপাচার্য হিসাবে আমি তা মেনে নিতে বাধ্য। অন্তত এ বছরের জন্য ভর্তিতে এই নিয়ম বহাল থাকছে।’’ তবে কি আগামী বছরে ফের ভর্তি পদ্ধতি বদলাতে চলেছে? এ বিষয়ে কিছু খোলসা করে বলেননি তিনি।

প্রবেশিকা পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা

আরও পড়ুন: এখনও ঘেরাওমুক্ত নন উপাচার্য, প্রবেশিকার দাবিতে উত্তাল যাদবপুর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন