কেউ বলছেন দুর্নীতি, কেউ বলছেন ভোটের তাড়া, তোপ বিরোধীদের

জোড়সাঁকোর কাছে নির্মীয়মাণ উড়ালপুর ভেঙে পড়ে ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন এখনও জানা যায়নি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল, পুলিশের সঙ্গে পৌঁছে গেছেন সেনা জওয়ানও। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস, কংগ্রেস রাজ্য সম্পাদক অধীর চৌধুরী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৬ ১৬:১৯
Share:

জোড়সাঁকোর কাছে নির্মীয়মাণ উড়ালপুর ভেঙে পড়ে ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন এখনও জানা যায়নি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল, পুলিশের সঙ্গে পৌঁছে গেছেন সেনা জওয়ানও। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ্য সম্পাদক অধীর চৌধুরী। বিরোধী নেতা-নেত্রীরা এই ঘটনার জন্য সরাসরি শাসক দলকেই দায়ী করেছেন। অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘‘ সাড়ে ১২টায় দুর্ঘটনা ঘটলেও পুলিশ আসতে এত দেরি করল কেন? আমরা তদন্তের দাবি করছি। নগর উন্নয়ন মন্ত্রীকে দেখেছি ঘুষ নিতে। কত ঘুষ নিয়েছেন তিনি এই উড়ালপুলের জন্য।’’

Advertisement

সেতু ভাঙার জন্য রাজ্য সরকারের নজরদারির অভাবকে দায়ী করলেন বিমান বসু।

তদন্তের দাবি তুলেছেন দীপা দাসমুন্সিও।

Advertisement

অশোক ভট্টাচার্য আবার বলেছেন ‘‘ভোটের জন্য উদ্বোধনের তাড়াহুড়োই এই বিপত্তির কারণ।

‘‘অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক ভাবে তৈরি হচ্ছিল এই উড়ালপুর, উল্টোডাঙ্গার দুর্ঘটনার পরেও ওদের শিক্ষা হয়নি।’’-বাবুল সুপ্রিয়।

‘‘পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। গভীর সমবেদনা জানাই মৃতদের পরিবারের প্রতি। এনডিআর-কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’- রাজনাথ সিংহ।

মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।

বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নখভি বলেছেন ‘‘চরম দুর্নীতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।রাজ্য সরকার উদ্ধারকার্যে যথেষ্ট তত্পর নয়’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন ‘‘নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আশা করি আহতরা দ্রুত সেরে উঠবেন।’’

‘‘সেনা, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টকে আমরা ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। উপরে যখন কাজ চলছে সেই অবস্থায় নীচে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। তৃণমূল সরকারকেই এই ঘটনার দায়িত্ব নিতে হবে। গোটা দেশ জেনে গেল কী ভাবে এই রাজ্যে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। সরকারকে উত্তর দিতে হবে এখনও কেন উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে শুধু ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করলেই চলবে না। এটা যদি রাতের অন্ধকারে হতো, তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাশ সাইড করে দিতেন আর মিডিয়াকে ধারে কাছে ঘেঁষতে দিতেন না। সব ধামাচাপা দিয়ে দিতেন। কিন্তু এখানে ঘটনা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।’’-মহম্মদ সেলিম।

রাহুল গাঁধী তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন ‘‘কেন কী হল, সে সব বিচার পরে হবে। এখন যাঁরা আহত তাদের চিকিত্সার ব্যবস্থা হোক আগে। উদ্ধারকরা হোক আটকে পড়াদের। সরকারেপ সামনে এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement