পাইপ মেরামতির জন্য নির্জলা বিস্তীর্ণ এলাকা

এ দিন সকালের দিকে জল সরবরাহ চালু থাকায় বাসিন্দাদের অনেকেই আগে থেকে জল ধরে রেখেছিলেন। বেশ কিছু এলাকায় আবার ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২০ ০২:৫৭
Share:

কর্মকাণ্ড: চলছে পাইপলাইন মেরামতির কাজ। শনিবার, আর জি কর হাসপাতালের পিছনে নীলমণি মিত্র রো-এ। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

শনিবার সকাল ১০টার পর থেকেই জলশূন্য হয়ে পড়ে উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। আর জি কর রোডের কাছে নীলমণি মিত্র রো-এ ৬০ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপলাইনের মেরামতির জন্যই এ দিন জল সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই এ দিন কাশিপুর, বেলগাছিয়া থেকে শুরু করে শ্যামবাজার, মানিকতলা, শিয়ালদহ, জোড়াবাগান, কসবা, বেলেঘাটা, বড়বাজার, গিরিশ পার্ক, মৌলালি, মল্লিকবাজার, পার্ক সার্কাস-সহ বিস্তীর্ণ অংশে জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর ও ক্যামাক স্ট্রিটেও জল সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।

Advertisement

পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ও জল সরবরাহ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরহাদ হাকিম বলেন, “টালার পাইপের মেরামতির কাজ দুপুরের মধ্যেই শুরু হয়েছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। রবিবার সকালে ঠিক সময়েই জল সরবরাহ করা হবে।’’

পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত রবিবার ওই পাইপে ফাটল দেখা দেওয়ায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর এবং আশপাশের এলাকায় জল জমে যায়। জরুরি ভিত্তিতে ওই পাইপের প্রাথমিক মেরামতি করা হলেও প্রযুক্তিগত কারণে জল সরবরাহ চালু রেখে স্থায়ী মেরামতি করা সম্ভব হয়নি।

Advertisement

এ দিন সকালের দিকে জল সরবরাহ চালু থাকায় বাসিন্দাদের অনেকেই আগে থেকে জল ধরে রেখেছিলেন। বেশ কিছু এলাকায় আবার ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে ট্যাংরা অঞ্চলের কয়েকটি বস্তির বাসিন্দারা জল পাননি বলে অভিযোগ। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, টালা পাম্পিং স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত কোনও বুস্টার পাম্পিং স্টেশন থেকে সকাল ১০টার পরে পানীয় জল তোলা সম্ভব নয়। সেই কারণেই কয়েকটি জায়গায় ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পৌঁছতে দেরি হয়েছে।

টালার ওই পাইপলাইনের সমস্যা কোথায়?

পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক আধিকারিক জানান, ওই পাইপলাইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেটির মাধ্যমে প্রায় সর্বক্ষণই পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। ওই পাইপটি একটি রেললাইনের প্রায় ৪০ ফুট নীচ দিয়ে গিয়েছে। ফলে পাইপের ঠিক কোন জায়গায় সমস্যা, তা চিহ্নিত করতে সময় লেগেছে। গত বছরও ওই পাইপলাইনের মেরামতির জন্য পুর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু মাটির অতটা নীচে নেমে পাইপের পাশে জমে থাকা জল সরিয়ে মেরামতি করা তখন সম্ভব হয়নি বলেই জানান পুরসভার এক আধিকারিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন