মনোযোগী মেয়র। পুরসভার বাজেট অধিবেশনে শোভন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কলকাতা যে পুরোপুরি জল-সঙ্কটমুক্ত নয় তা কার্যত মেনে নিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে মঙ্গলবার পুর-বা়জেট অধিবেশনের শেষ দিনে তিনি বলেন, ‘‘শহরে পানীয় জল সরবরাহ আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তবে কিছু এলাকায় সমস্যা রয়েই গিয়েছে।’’
কলকাতা পুরসভার বাজেট অধিবেশনে পানীয় জল সঙ্কট নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধী কাউন্সিলরেরা। সিপিএম-এর তরফে অভিযোগ উঠেছিল, বাম বোর্ডের সময়ে জল সরবরাহের যে সব প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের আমলে তার তুলনায় খুব বেশি উন্নতি হয়নি। এই অভিযোগ অস্বীকার করে শোভনবাবু জানান, তাঁদের আমলেই তৎকালীন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় পলতা জলপ্রকল্পে পানীয় জলের সংস্থান প্রায় ১০ কোটি গ্যালন বাড়িয়েছিলেন। পরবর্তীতে তৃণমূল বোর্ড গার্ডেনরিচ-সহ আরও কাজ করেছে। ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূল আমলে শহরে জল সরবরাহের পরিমাণ ৪৮ কোটি ৪০ গ্যালন। যে কোনও বড় শহরে যে জল সরবরাহ করা হয় তার তুলনায় এর পরিমাণ অনেক বেশি।’’
শোভনবাবু এ দিন জানান, নেতাজিনগর, বেলেঘাটা এবং খিদিরপুর এলাকা-সহ ১২৭ ও ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত কাষ্ঠডাঙা অঞ্চলেও জলসঙ্কট রয়েছে। তা মেটাতে চাউলপট্টি, লায়েলকা এবং শকুন্তলা পার্কে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হচ্ছে। দইঘাট পাম্পিং স্টেশনেরও সংস্কার হচ্ছে।
মেয়র এ দিন আরও জানান, ওয়ার্ডের উন্নতিকল্পে কাউন্সিলরদের বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ সাড়ে বারো লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ টাকা করা হবে। গত বৃহস্পতিবার পুরসভায় ২০১৬-১৭ সালের পুর-আর্থিক বা়জেট পেশ করেছিলেন মেয়র। এ দিন সেই বাজেট পাশ হয়। এ দিনের অধিবেশনে মেয়র জানান, পুরসভা অনেক মানুষকে করের আওতায় এনেছে। এলাকাভিত্তিক কর নিয়েও পর্যালোচনা চলছে।