ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাতের ‘বিপজ্জনক’ বার্তা এল তিন বার

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাটমস্ফেরিক সায়েন্সেস বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রাত ৯টা ১৭ মিনিটে প্রথম ‘ডেঞ্জারাস থান্ডারস্টর্ম অ্যালার্ট নোটিফিকেশন’ আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০১:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের ছাদে বসানো ‘লাইটনিং ডিটেক্টর’ যন্ত্রে সোমবার রাতে মোট তিন বার ‘ডেঞ্জারাস থান্ডারস্টর্ম অ্যালার্ট নোটিফিকেশন’ ফুটে উঠেছিল। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ই-মেলে গিয়েছিল বার্তা— ‘প্রাণহানি রুখতে ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করুন’। কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টি, সঙ্গে মুহুর্মুহু বজ্রপাত তখন দ্রুত ‘বিপজ্জনক’ মাত্রা ছাড়াচ্ছে।

Advertisement

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাটমস্ফেরিক সায়েন্সেস বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রাত ৯টা ১৭ মিনিটে প্রথম ‘ডেঞ্জারাস থান্ডারস্টর্ম অ্যালার্ট নোটিফিকেশন’ আসে। তার পরে ৯টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত একাধিক বার সেই বার্তা আসতে থাকে। ওই বিভাগের শিক্ষক সুব্রতকুমার মিদ্যা বলেন, ‘‘বিপজ্জনক বার্তাটি আসার অর্থ হল, ভূপৃষ্ঠে বজ্রপাত এবং সেই কারণে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যাওয়া।’’

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবের পরে কালবৈশাখীর দেখা না পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রবল গরমে অতিষ্ঠ অবস্থা হয়েছিল শহরবাসীর। শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতের বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি আসে। কিন্তু ওই রাতে যে ভাবে ঘন ঘন বাজ পড়েছে, তাতে চারদিকে একটা আতঙ্কও তৈরি হয়েছিল।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আবহবিদদের একাংশের বক্তব্য, কালবৈশাখীতে বজ্রগর্ভ মেঘ হওয়া স্বাভাবিক। ‘ক্লাউড টু ক্লাউড’ বজ্রপাতে (যা মেঘে মেঘে হয়) চিন্তার তেমন কিছু নেই। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা শুরু হয় ‘ক্লাউড টু গ্রাউন্ড’ বজ্রপাতের (যা মেঘ থেকে এসে পড়ে মাটিতে) ক্ষেত্রে। ‘বিপজ্জনক’ মাপকাঠিতে এ ধরনের বজ্রপাতের আবার বেশ কয়েকটি ভাগ রয়েছে। যে বজ্রপাতগুলি ততটা বিপজ্জনক নয়, তার জন্য ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ বা ‘হলুদ বার্তা’ ফুটে ওঠে লাইটনিং ডিটেক্টর যন্ত্রে। আর তার থেকে বেশি বিপজ্জনক বজ্রপাতের জন্য ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে যন্ত্র।

কিন্তু ‘ডেঞ্জারাস থান্ডারস্টর্ম অ্যালার্ট’-এর ক্ষেত্রে সমূহ বিপদের আশঙ্কা থাকে। তখন সংশ্লিষ্ট ই-মেলে বার্তা যায়, ‘টেক অ্যাপ্রোপ্রিয়েট মেজ়ার্স টু এনশিয়োর সেফটি টু লাইফ অ্যান্ড প্রপার্টি ইমিডিয়েটলি’। সোমবার রাতে যেমনটা হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement