পর্ষদ শব্দ মাপার যন্ত্র দেবে পুলিশকে

তার বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও। কিন্তু তাদের কাছে শব্দ মাপার যন্ত্র থাকে না। এ দিন আদালত জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৭ ০২:৪৬
Share:

শব্দ দৌরাত্ম্য আটকাতে পুলিশের হাতে এ বার শব্দ মাপার যন্ত্র তুলে দেবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ। মঙ্গলবার ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবেশ সচিব অর্ণব রায়।

Advertisement

পরিবেশ দফতর সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ৭২০টি সাউন্ড মিটার বা শব্দ মাপার যন্ত্র কেনা হবে। তা কলকাতা এবং সংলগ্ন থানাগুলিকে দেওয়া হবে। পরিবেশ দফতরের একটি সূত্রের খবর, বাজি ছাড়া গাড়ি থেকেও শব্দ দূষণ ছড়ায়। তার বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও। কিন্তু তাদের কাছে শব্দ মাপার যন্ত্র থাকে না। এ দিন আদালত জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

এ দিন আদালতে মুম্বইয়ের একটি খবরের কাগজের কাটিং জমা দেন মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাতে বম্বে হাইকোর্টে শব্দ দূষণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির প্রতিবেদন দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিনা কারণে হর্ন বাজানোর ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র সরকার ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা চালু করেছে।’’ তা দেখে বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এখানেও এমন আইন করা যায় কি না, তা রাজ্য সরকার ভেবে দেখুক। অতিরিক্ত ডেসিবেলের হর্ন প্রস্তুতকারী সংস্থা ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবহণ দফতরকে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যের সব পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ‘সাউন্ড লিমিটার’ লাগানো নিয়ে পরিবেশ দফতরের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। এ দিন পরিবেশ সচিব আদালতকে জানান, ওয়েবেল ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বিষয়টি একসঙ্গে ঠিক করবে। এই কাজও এক মাসের মধ্যে শেষ করতে বলেছে কোর্ট। আদালতের আরও নির্দেশ, কলকাতা পুলিশের এলাকায় দূষিত জেনারেটর ধরতে পরিবেশ দফতর নোডাল অফিসার নিয়োগ করুক। প্রশাসনকে শহরের ‘সাইলেন্স জোন’গুলি ২৪ ঘণ্টা চিহ্নিত করে রাখার কথাও বলেছে ট্রাইব্যুনাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন