TEMPERATURE

মাথাচাড়া দিচ্ছে গরম

আবহবিদদের একাংশের মতে, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে তার জেরে বাড়তে পারে কলকাতা ও লাগোয়া জেলার তাপমাত্রা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০৬:১৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

মার্চের শেষ লগ্নে এসে চড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। শুক্রবার তাপমাত্রার নিরিখে কলকাতা পিছনে ফেলেছে বীরভূম, রাঁচীকেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও সামান্য বাড়তে পারে। তবে লকডাউনের কারণে গরমে বাইরে কাটাতে হবে না শহরবাসীকে

Advertisement

আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বীরভূমের শ্রীনিকেতন ও ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৬.৪ ডিগ্রি এবং ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আবহবিদদের একাংশের মতে, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে তার জেরে বাড়তে পারে কলকাতা ও লাগোয়া জেলার তাপমাত্রা।

এ বছরের মার্চে সে ভাবে দহনজ্বালা সহ্য করতে হয়নি শহরবাসীকে। বহু বছর পরে এ বারের দোলে চিরায়ত বসন্তের মেজাজ ফিরেছিল। পরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং কালবৈশাখীর কারণে চৈত্রের প্রথম ভাগে সে ভাবে গরম পড়েনি। তবে করোনাভাইরাস আতঙ্কে অনেকেই এ বার গরমের জন্য হাপিত্যেশ করছেন। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হতে পারে বলে প্রচার চলছে। সাধারণত ঋতু বদলের সময়ে পরজীবীরা সক্রিয় হয় ও তাপমাত্রা বাড়লে বহু পরজীবী নিষ্ক্রিয় হয় বলে বিজ্ঞানীরা জানান। কিন্তু বেশি গরমে করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় হতে পারে, এমন দাবি এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত ভাবে করেননি। তবে অনেকে এ-ও বলছেন, দেশজোড়া লকডাউন আপাতত চলবে ১৪ এপ্রিল বা চৈত্র সংক্রান্তি পর্যন্ত। তার পরে লকডাউন শেষ হলেও চৈত্রের রোদ সে ভাবে গায়ে জ্বালা ধরাতে পারবে না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন