‘রাস্তা দখল করা যাবে না’

বুধবার দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যন্ত্রীর একটি মন্তব্য মহানগরীর ওই সব এলাকার পথচারীদের মনে তুলে দিয়েছে একটাই প্রশ্ন— কলকাতার এই যন্ত্রণা কি শেষ হবে না?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ১২:৪২
Share:

ফুটপাথেই চলছে বিকিকিনি। —ফাইল চিত্র।

নিউ মার্কেটের আশপাশে দখল হয়ে গিয়েছে ফুটপাথ। হকারের ডালা ফুটপাথ ছেড়ে নেমে এসেছে রাস্তাতেও। দখল হয়ে গিয়েছে পুরো ধর্মতলা চত্বর। লেনিন সরণি, এস এন ব্যানার্জি রোডে ফুটপাথ ছেড়ে মানুষকে নেমে আসতে হচ্ছে পথে। চাঁদনি চকেও একই হাল। বুধবার দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যন্ত্রীর একটি মন্তব্য মহানগরীর ওই সব এলাকার পথচারীদের মনে তুলে দিয়েছে একটাই প্রশ্ন— কলকাতার এই যন্ত্রণা কি শেষ হবে না?

Advertisement

রাস্তা আটকে ব্যবসার বিরোধী তিনি। বুধবারই দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দোকান বসানো চলবে না। তিনি বলেন, ‘‘হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে, কে বা কারা রাস্তা দখল করে চারটে দোকান বসিয়ে দিচ্ছে। টাকা খেয়ে কেউ কেউ এমন করছে। এটা বরদাস্ত করব না।’’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই মনোভাব কলকাতায় কেন কার্যকর হয় না, সেই প্রশ্ন তুলছেন পথচারীদের একাংশ। চাঁদনি চকে হকারদের ডালা বসেছে রাস্তার উপরেই। কাছেই দাঁড়িয়ে পুলিশের ভ্যান। রাস্তায় রিকশা, গাড়ি, ম্যাটাডর।

গড়িয়াহাটে ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘অপারেশন সানশাইন’ অভিযানে হকার সাফ করে দেওয়া হয়েছিল বাম আমলে। সেখানে এখন ফুটপাথ দিয়ে চলা দায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর প্রশ্ন, ‘‘কলকাতাতেই বা মানুষের যাতায়াতের পথ কেন পরিষ্কার থাকবে না?’’ তবে হকারেরা কিন্তু নিশ্চিন্ত। এক হকার নেতার মন্তব্য, ‘‘অপারেশন সানশাইনের পরে দিদি আমাদের জন্য পথে বসেছিলেন। উনি আমাদের সরাবেন না।’’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টেপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যদি কিছু বলে থাকেন, তবে সেটা অবশ্যই করতে হবে। কলকাতার ব্যাপারে আলাদা করে আমার কিছু বলার নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন