পড়ুয়াদের পা কেটে নেওয়ার হুমকি দিল এবিভিপি!

ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোলে পড়ুয়াদের পা কেটে ফেলার হুমকি দিলেন এবিভিপি-র রাজ্য সভাপতি সুবীর হালদার। গত শুক্রবার ‘বুদ্ধ ইন আ ট্র্যাফিক জ্যাম’ ছবির প্রদর্শন ঘিরে যাদবপুর ক্যাম্পাসে যে অশান্তির আগুন জ্বলেছিল সোমবার তাতে আরও ইন্ধন পড়ল। এ দিন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র মিছিল ঘিরে ফের উত্তাল হয়ে উঠল যাদবপুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৬ ১৯:৫০
Share:

এভিবিপি-র মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।

ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোলে পড়ুয়াদের পা কেটে ফেলার হুমকি দিলেন এবিভিপি-র রাজ্য সভাপতি সুবীর হালদার। গত শুক্রবার ‘বুদ্ধ ইন আ ট্র্যাফিক জ্যাম’ ছবির প্রদর্শন ঘিরে যাদবপুর ক্যাম্পাসে যে অশান্তির আগুন জ্বলেছিল সোমবার তাতে আরও ইন্ধন পড়ল। এ দিন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র মিছিল ঘিরে ফের উত্তাল হয়ে উঠল যাদবপুর। এক দিকে এবিভিপি-র মিছিল এবং অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অবস্থান-বিক্ষোভে এই অশান্তি কমার বদলে আরও জটিল আকার নিল পরিস্থিতি। অগ্নিতে ঘৃতাহুতি পড়ল সুবীর হালদারের বিতর্কিত মন্তব্যে।

Advertisement

এ দিন বিকেল ৪টের সময় গোলপার্ক থেকে যাদবপুর ৮বি পর্যন্ত মিছিল করার কথা আগেই জানিয়েছিল এভিবিপি। অশান্তির আশঙ্কা করে থানার সামনে দ্বিস্তরীয় ব্যারিকেড করে পুলিশ। পাশাপাশি, তৈরি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। স্নাতকোত্তর স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা যাতে নির্বিঘ্নে হয় সে জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাঁরা। সংঘর্ষ নয়, ক্যাম্পাসে ঢুকলে শান্তিপূর্ণ ভাবে মানব-বন্ধন করে এবিভিপি-কে আটকানো হবে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে ক্যাম্পাস পর্যন্ত যেতে পারেননি এবিভিপি-র সদস্যরা। যাদবপুর থানার সামনের ব্যারিকেডের বাধা টপকে আর এগোতে পারেননি তাঁরা। ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলেও পুলিশি বাধার মুখে পড়েন সংগঠনের সদস্যরা। পুলিশকর্মীদের একাংশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এর পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪নং গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা।

অন্য দিকে, থানার সামনের জমায়েতে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি সুবীর হালদার। সে সময়ই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনেন তিনি। এভিবিপি-র মন্তব্যের তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়েছে শিক্ষক মহলের একাংশ। ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, “আমরা পড়ুয়াদের পাশে রয়েছি। যাতে ওঁরা প্ররোচনায় পা না দেন বা কোনও রকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সে দিকেও লক্ষ রাখা হচ্ছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যাবিদ্যালয়ের ঐতিহ্য যাতে কালিমালিপ্ত না হয় সে কারণেও পড়ুয়াদের সঙ্গে অবস্থানে রয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন

বহিরাগতরাই দায়ী, রিপোর্ট উপাচার্যের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন