—প্রতীকী ছবি।
গৃহকর্ত্রীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দোতলার জানলার ফাঁক গলে পাইপ বেয়ে নেমে পালিয়ে বাঁচল সাত বছরের পরিচারিকা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার
মদারহাটে। অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহকর্ত্রী অঞ্জু মিনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর দাবি, তিনি রাজ্য শ্রম দফতরের কর্মী।
পুলিশ সূত্রের খবর, মাস তিনেক আগে ঘুটিয়ারি শরিফের বাসিন্দা ওই বালিকাকে তাঁর মামা অঞ্জুর বাড়িতে কাজ করতে দিয়ে যান। বিবাহ-বিচ্ছেদের পরে ওই মহিলা একাই থাকেন। মেয়েটির অভিযোগ, কাজ করতে না পারায় তাকে কান ধরে ওঠবোস করানো হত। একাধিক বার ব্লেড দিয়ে হাতের তালু চিরে দেওয়া হয়েছে। এ দিন সকালেও ফের তাকে মারধর করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অঞ্জু যখন স্নানে যান, সে সময়ে ওই বালিকা জানলা দিয়ে গলে পাইপ বেয়ে নেমে আসে। পাশের একটি স্কুলে গিয়ে কাঁদতে থাকে। গৌতম সর্দার নামে এক শিক্ষক সব শুনে বারুইপুর মহিলা থানায় খবর দেন। ওসি কাকলি ঘোষ কুণ্ডু ওই বালিকার থেকে অভিযোগ শোনেন। এর পরেই অঞ্জুকে ধরা হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই শিশুর গায়ে একাধিক কালসিটে রয়েছে। বাঁ হাতের একটি আঙুলের মাথায় গভীর ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার উপরে নিয়মিত অত্যাচার চালানো হত। তদন্তকারীদের দাবি, শিশুটির উপরে অত্যাচারের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অঞ্জু। তিনি শ্রম দফতরের কর্মী পরিচয় দিলেও তার বৈধতা প্রমাণে পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির মামার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শিশুকে পরিচারিকার কাজে বাধ্য করার জন্য পৃথক মামলা রুজু করা হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘সব দিক খতিয়ে দেখছি। ওই মহিলাকে আরও জেরা করা হচ্ছে।’’