Death

স্বামীর শ্রাদ্ধের কাজে অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী, ১০ দিন পরে মৃত্যু

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহের বি আর সিংহ হাসপাতালে গত ১০ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় শিপ্রাদেবীর স্বামী, পেশায় রেলকর্মী জ্যোতির্ময় মিত্রের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্বামীর পারলৌকিক কাজ করার সময়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন স্ত্রী। এলাকার একটি নার্সিংহোমে ১০ দিন লড়াই চালানোর পরে রবিবার সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে কসবার একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে। মৃতার নাম শিপ্রা মিত্র (৬৪)। তাঁর বাড়ি কসবারই নস্কর লেনে। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে শিপ্রাদেবীর মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহের বি আর সিংহ হাসপাতালে গত ১০ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় শিপ্রাদেবীর স্বামী, পেশায় রেলকর্মী জ্যোতির্ময় মিত্রের। তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। আগের দিনই জ্যোতির্ময়বাবুকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পরে ২৩ ডিসেম্বর কসবার ডাক্তার জি এস বসু রোডের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে পারলৌকিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন শিপ্রাদেবী। সেখানেই কোনও ভাবে অগ্নিদগ্ধ হন তিনি।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, ওই অনুষ্ঠানে একটি জ্বলন্ত মোমবাতি থেকে শিপ্রাদেবীর কাপড়ে আগুন ধরে যায়। পুড়ে যায় তাঁর শরীরের নিম্নাঙ্গ। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কসবার ওই নার্সিংহোমে। ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে রবিবার সেখানে মারা যান তিনি।

Advertisement

শিপ্রাদেবীর ভাই সমরজিৎ রায় সোমবার জানান, তাঁর দিদি-জামাইবাবুর মধ্যে দীর্ঘদিন যোগাযোগ ছিল না। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জ্যোতির্ময়বাবু বি আর সিংহ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে সব জানতে পারেন শিপ্রাদেবী। মৃতার পরিবার সূত্রে তদন্তকারীরা আরও জেনেছেন, ১০ তারিখ জ্যোতির্ময়বাবুর মৃত্যু হলে পরিজনেদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বামীর পারলৌকিক কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন বৃদ্ধা। সেই মতো কসবায় একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়। সমরজিৎ বলেন, ‘‘জামাইবাবুর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে দিদিকে বার বার বারণ করেছিলাম আমরা। কিন্তু দিদি আমাদের কথা শোনেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন