ডিভাইডারে ধাক্কা গাড়ির, মৃত ১

পুলিশ জানায়, মৃতার নাম চন্দ্রিমা রায় (৫২)। তাঁর স্বামী প্রণবকুমার রায় গুরুতর জখম অবস্থায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তিনিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা গুরুতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৫৩
Share:

চন্দ্রিমা রায়।

অসুস্থ দাদাকে হাসপাতাল থেকে পৌঁছে দিয়ে ফিরছিলেন ভাই এবং ভাতৃবধূ। কিন্তু নিজের বাড়ি ফেরা হলো না ভাতৃবধূর। শুক্রবার রাতে এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে ফেরার পথে ই এম বাইপাসের মুকুন্দপুরের কাছে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মৃতার নাম চন্দ্রিমা রায় (৫২)। তাঁর স্বামী প্রণবকুমার রায় গুরুতর জখম অবস্থায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তিনিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা গুরুতর।

মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রণববাবুর দাদা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বেশ কিছু দিন ধরেই। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার বিকেলের পর চিকিৎসকেরা তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর পরেই দাদাকে নিজেদের গাড়িতে এয়ারপোর্ট এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেন দু’জনে। মৃতার এক আত্মীয় অমিতাভ দে জানান, এর পরে গভীর রাতেই নিজেদের সোনারপুরের বাড়িতে রওনা দিয়েছিলেন চন্দ্রিমাদেবী এবং প্রণববাবু। ভোরে দুর্ঘটনার খবর জানতে পারেন আত্মীয়েরা। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁদের এক মাত্র মেয়ে বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। প্রণববাবু দীর্ঘ দিন ধরেই আলিপুরদুয়ারে ঠিকাদারি করেন। পুজোয় উত্তর ভারত ঘুরে অসুস্থ দাদাকে দেখতে কলকাতায় এসেছিলেন।

Advertisement

দুর্ঘটনার পরে গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, রাত দেড়টা নাগাদ দ্রুত গতিতে থাকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুকুন্দপুরের কাছে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। অচৈতন্য অবস্থায় গাড়ির দুই আরোহীকে পাশের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা চন্দ্রিমাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের অনুমান, অন্যমনস্ক হয়ে পড়ার ফলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারননি প্রণববাবু। পুলিশ জানিয়েছে, প্রণববাবুর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানো এবং বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের ফেটাল স্কোয়াডের গোয়েন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন