—প্রতীকী চিত্র।
এত দিন দক্ষিণ দমদম পুরসভা দাবি জানিয়ে আসছিল, ১২, ১৩ ও ১৪— এই তিন ওয়ার্ডেই মশাবাহিত রোগ সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু বাসিন্দারা অভিযোগ করছিলেন, রোগ ছড়াচ্ছে অন্য ওয়ার্ডেও। তাঁদের সেই অভিযোগ যে কথার কথা নয়, এ বার তার প্রমাণ মিলল। মশাবাহিত রোগে মৃত্যু হল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক মহিলার। যদিও পুর প্রশাসনের দাবি, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মনোমিতা দাস (৩২)। তাঁর স্বামী শঙ্কর দাস দক্ষিণ দমদম পুরসভার কর্মী। আর এন গুহ রোডের বাসিন্দা মনোমিতাকে ১৮ অগস্ট আর জি করে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁর রক্তে ডেঙ্গির উপসর্গও ছিল। কিন্তু রক্ত পরীক্ষায় এন এস-১ পজিটিভ ধরা পড়ে। যদিও মনোমিতার পরিবারের অভিযোগ, আরজিকরে তাঁর ঠিক মতো চিকিৎসা হয়নি। শনিবার রাতে ওই মহিলাকে ভিআইপি রোডের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যান তিনি।
যদিও দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রোগ ছড়ানোর অভিযোগ ঠিক নয়। আগের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
মশাবাহিত রোগ থাবা বসিয়েছে রাজারহাট-গোপালপুর থেকে শুরু করে সংযুক্ত কিছু এলাকাতেও। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। তার মধ্যে ৩০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত রোগ নিয়ন্ত্রণে আছে। তবুও জমা জল সরানো এবং জঞ্জাল সাফাইয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।’’