প্রতীকী ছবি।
মানুষ পাচারে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াও। এই নতুন কায়দায় মানুষ পাচার আটকাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। বুধবার কলকাতার মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এমনটাই বললেন বক্তারা।
এই মুহূর্তে বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে মানুষ পাচারের ঘটনা। কোথাও কোথাও কাজের জন্য পুরুষদেরও পাচার করা হচ্ছে। মূলত যৌন ব্যবসায় নামাতে ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করাতেই মহিলা ও শিশুদের পাচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)। সেই পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশে বছরে গড়ে আট হাজার মেয়েকে (প্রাপ্তবয়স্কা ও নাবালিকা মিলিয়ে) পাচার করে দেওয়া হয়।
মার্কিন কনসাল জেনারেল প্যাটি হফম্যান বলেন, ‘‘আমেরিকার সরকার পাচার রুখতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে।’’ আর এই অপরাধ রোধে স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের সক্রিয় ভাবে যুক্ত করা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তিনি। দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তা রবি কান্ত বলেন, ‘‘প্রতিরোধ হচ্ছে। তবে তা বাড়াতে হবে। যে সব মেয়ে কিংবা শিশু উদ্ধার হচ্ছে, তাদের পুনর্বাসন দেওয়া প্রয়োজন।’’ তবে উদ্ধার হওয়া নির্যাতিতাদের অধিকাংশেরই পরিচয়পত্র থাকে না বলে পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণে সমস্যা হয়। এই সমস্যা কী ভাবে মেটানো যায়, সরকার তা-ও ভাবছে বলে জানান তিনি।