প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল স্লোগান হল, ‘ডেঙ্গি প্রিভেনশন ইজ় এভরিবডিজ় কনসার্ন’। ডেঙ্গি প্রতিরোধের বিষয়টি যে সকলকে ভাবাচ্ছে, তা মাথায় রেখে শনিবার কলকাতা পুর প্রশাসন ডেঙ্গি নিবারণে সচেতনতার কর্মশালা করল রবীন্দ্রসদনে। সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে মশাবাহী রোগ নিবারণ নিয়ে এক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, কলকাতা পুরসভা যে ভাবে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ করছে, তা মেনেই অন্য জেলাগুলিতেও কাজ করতে হবে। এ দিন ওই কর্মশালায় হাজির ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। কলকাতা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এক বিভাগীয় প্রধান বিভূতি সাহাও ছিলেন সেখানে।
কর্মশালায় পুরসভার প্রতিনিধিরা ছাড়াও শহরের অনেক চিকিৎসক, খেলোয়াড়, সঙ্গীতশিল্পী, সমাজকর্মী যোগ দেন। ডেঙ্গি নিবারণে মশার বংশ নাশ যে জরুরি, তা বলার পাশপাশি রোগ প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলা হয়। ডেঙ্গি আক্রান্তদের নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়েও সতর্ক করেন চিকিৎসকেরা। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘প্লেটলেট ১০ হাজারের নীচে না নামলে রক্ত দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু কিছু চিকিৎসক বা হাসপাতাল সেই নিয়ম না মানায় আতঙ্ক ছড়ায়।’’
কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হয় পুরকর্মীদের। সামান্য একটি পাত্রের জমা জল থেকেও যে ডেঙ্গিবাহী এডিসের লার্ভা জন্মায়, অনেকেই তা খেয়াল করেন না। সকলে সতর্ক না থাকলে শুধু সরকারের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষ যাতে এই কাজে সহায়তা করেন, তাঁদের নিজেদের জন্যই এটা বোঝাতে হবে। সেই কাজে কর্মশালায় হাজির সকলের সমর্থন চান তিনি। চিকিৎসক বিভূতি সাহা বলেন, ‘‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে কাজ করলে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ অনেক সহজ হবে।’’ এ দিন কর্মশালায় আগত সব প্রতিনিধির হাতে সেই নির্দেশিকা-সহ পুস্তিকাও দেওয়া হয়।