রক্তাক্ত ডাক্তারি ছাত্রকে পাওয়া গেল বাড়ির ছাদে

শুক্রবার গভীর রাতে বাড়ির ছাদ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে। পশ্চিম পুটিয়ারির পঞ্চাননতলা রোডের ঘটনা। পুলিশ জানায়, সৌম্যদেব সাহু নামে ২২ বছরের ওই তরুণ এখনও অচেতন অবস্থায় রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পশ্চিম পুটিয়ারি শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৬
Share:

সৌম্যদেব সাহু

শুক্রবার গভীর রাতে বাড়ির ছাদ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে। পশ্চিম পুটিয়ারির পঞ্চাননতলা রোডের ঘটনা। পুলিশ জানায়, সৌম্যদেব সাহু নামে ২২ বছরের ওই তরুণ এখনও অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। তিনি আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের সন্দেহ, গভীর রাতে চুরির উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢোকা এক বা একাধিক দুষ্কৃতীর উপস্থিতি টের পেয়ে যান তিনি। আর সেই জন্যই তার বা তাদের হাতে আক্রান্ত হন সৌম্যদেব। ভারী কিছু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়। এই নিয়ে সৌম্যদেবের পরিবার শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে হাসপাতাল থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ।

সৌম্যদেবের বাবা, পেশায় আইনজীবী বলাইলাল সাহু জানান, তাঁর ছেলে হলদিয়ার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। দিন কয়েক আগে কলেজের হস্টেল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। সামনে পরীক্ষা থাকায় গভীর রাত পর্যন্ত নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিলেন সৌম্যদেব। বলাইবাবুর দোতলা বাড়ি। একতলায় তাঁর চেম্বার আর দোতলায় তিনি সপরিবার থাকেন। বলাইবাবুর কথায়, ‘‘আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাত আড়াইটে নাগাদ ছেলের গলা পাই। ও ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার করছিল। আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। এর পরেই ধুপ করে ভারী কিছু পড়ার শব্দ হয়।’’

Advertisement

বলাইবাবু জানান, সৌম্যদেবের গলা পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ছেলের ঘরে যান। ঘর ফাঁকা দেখে তিনি ছাদে যান। দরজা খোলাই ছিল। ছাদেই রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখেন। এর পরেই পড়শিও আত্মীয়দের খবর দেন। সবাই মিলে সৌম্যদেবকে আলিপুরের হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন?

বলাইলালবাবু বলেন, ‘‘আগে আমার ছেলে একটু সুস্থ হোক। তার পরেই এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাব।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, ডাক্তারি রিপোর্ট অনুযায়ী ওই তরুণের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও এক প্রস্ত কথা বলেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, রাত জেগে প়ড়ার সময় ছাদের উপরে চোরের গতিবিধি টের পেয়েছিলেন ওই তরুণ। তিনি চোর পাকড়াও করতেই ছাদে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে হাতে থাকা কোনও লাঠি জাতীয় কিছু দিয়ে মাথায় বাড়ি মেরে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী।

সম্প্রতি দক্ষিণ শহরতলির কিছু এলাকায় চুরি হচ্ছে। খোলা জানলা দিয়ে আঁকশি জাতীয় কিছুর সাহায্যে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, মানিব্যাগ হাতিয়ে নিচ্ছে ওই চোরেরা। তবে চোর আত্মরক্ষার জন্য লাঠি জাতীয় কিছু সঙ্গে নিয়ে এসেছে, এমন ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেছে বলে তদন্তকারীরা মনে করতে পারছেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন