রিসর্টে বসে প্রতারণা চক্র, ধৃত এক তরুণী

রাজারহাটের এক রিসর্টে বিলাসবহুল ঘর নিয়ে ঠগ ব্যবসা চালাতেন। এক ব্যক্তির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে দীপসা দে নামে এক তরুণীকে গ্রেফতার করল রাজারহাট থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৭ ০২:০২
Share:

নামী সংবাদ সংস্থা বা কোম্পানির খাবার সরবরাহের দরপত্র (টেন্ডার) পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতেন তাঁরা। রাজারহাটের এক রিসর্টে বিলাসবহুল ঘর নিয়ে ঠগ ব্যবসা চালাতেন। এক ব্যক্তির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে দীপসা দে নামে এক তরুণীকে গ্রেফতার করল রাজারহাট থানার পুলিশ।

Advertisement

শনিবার দীপসাকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিচারক ধৃতের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই মহিলা এবং সম্পর্কে তাঁর জামাইবাবু আরিয়ান দেব, দু’জনে মিলে এমন প্রতারণা চক্র চালাত বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার পর থেকেই আরিয়ান পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এক ব্যবসায়ী রাজারহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে বলা হয়, রাজারহাটের এক নামী রিসর্টে বসবাসকারী আরিয়ান দেব নামে এক ব্যক্তি তাঁকে একটি সংবাদ সংস্থার সব কর্মী ও ক্যান্টিনের খাবারের দরপত্র পাইয়ে দেওয়ার নামে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু তার পরে বরাত পাওয়া তো দূরের কথা, উল্টে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারেও টালবাহানা করতে থাকেন আরিয়ান। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই ব্যক্তি।

Advertisement

ঘটনার তদন্তে নেমে রাজারহাট থানার পুলিশ জানতে পারে, শুধু ওই ব্যবসায়ীই নন, এ রকম আট জন ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন সংস্থায় টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে
নিয়েছে আরিয়ান।

টেন্ডারের কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে পুলিশ আরও জানতে পারে, টাকা নেওয়ার সময়ে যে যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে, সবই ভুয়ো। এর পরেই ওই রিসর্টে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু তার আগেই চম্পট দেয় আরিয়ান।

রাজারহাটের ওই রিসর্ট থেকেই পুলিশ জানতে পারে, সেখানে আরিয়ানের সঙ্গে আর এক মহিলাও ঘর ভাড়া করে থাকতেন। সেই মহিলার সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ।

এর পরেই পুলিশ দুর্গাপুরের বাসিন্দা আরিয়ানের শ্যালিকা দীপসার খোঁজ পায়। আরিয়ানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, সেখান থেকে সম্প্রতি ১৫ লক্ষ টাকা দীপসার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এর পরেই দীপসাকে পুলিশ
গ্রেফতার করে।

পুলিশের দাবি, জেরায় দীপসা স্বীকার করেছেন, তিনি আর আরিয়ান দরপত্র পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা হাতাতেন। তবে এ দিন বারাসত আদালতে দীপসার আইনজীবী দাবি করেন, প্রতারণার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দু’জনকেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন