বাগুইআটির তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযুক্ত গ্রেফতার

বাগুইহাটির জগৎপুরে তৃণমূল কর্মী সঞ্জয় রায় খুনের অন্যতম অভিযুক্ত বাপি রহমান ওরফে বাপি রহমানকে অবশেষে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ। শনিবার রাতে জগৎধৃতকে রবিবার বারাসত আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ১৯:০৯
Share:

বাগুইহাটির জগৎপুরে তৃণমূল কর্মী সঞ্জয় রায় খুনের অন্যতম অভিযুক্ত বাপি রহমান ওরফে বাপি রহমানকে অবশেষে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ। শনিবার রাতে জগৎধৃতকে রবিবার বারাসত আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করল।

Advertisement

পুলিশের দাবি, ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের মধ্যে এখনও ১ জন অধরা। সেই অভিযুক্ত ভিন রাজ্যের বাসিন্দা।

২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে বাগুইহাটির জগৎপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মী সঞ্জয় রায় ওরফে বুড়োকে গুলি করে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে এলাকা ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

পুলিশ বিভিন্ন জায়গা থেকে এর আগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু অন্যতম মূল অভিযুক্ত বাপিকে ধরা যাচ্ছিল না। সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। শনিবার রাতে সে বাগুইহাটিতে ঢুকেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন- ঢাকুরিয়া ব্রিজ-সহ শহরের অন্য সেতুতেও রয়েছে বিপদ

পুলিশের দাবি, ঘটনার সময় বাপিও গুলি চালিয়েছিল তৃণমূল কর্মী বুড়োকে। বাপির বাড়ি কেষ্টপুরের শরৎপল্লিতে। এর আগে বিভিন্ন অপরাধে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। খুনের ঘটনার কিছু দিন আগেই সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল।

খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে এক অভিযুক্ত রঞ্জুর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। সেখানে একটি নীল ডায়েরি পেয়েছিল পুলিশ, সেখানে কামান বাপির নাম ছিল। পরে রঞ্জুকে গ্রেফতারের পরে জেরাতেও বাপির নাম সামনে আসে।

বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন বলে তদন্তকারীদের দাবি। আগে তৃণমূল কর্মী বুড়ো এবং ধৃতেরা সকলেই রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভার এক প্রভাবশালী যুবনেতার সঙ্গেই ছিল। ব্যবসার ভাগ-বাটোয়ারা থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। পরে এরা আলাদা হয়ে যায়। সঞ্জয়ের দাপটে তারা বাগুইহাটি-জগৎপুরে কিছুতেই ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে তোলাবাজির বাজার দখলে নিতে পারেনি বলেই স্থানীয় সূত্রের খবর। সেই দখলদারির জেরেই খুন বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন