হাসপাতালে দীনেশ। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র
বাড়ির পোষা কুকুরের দিকে তিনটি পথকুকুর তে়ড়ে আসায় বাধা দিয়েছিলেন মালিক। অভিযোগ, সেই সময়ে পথকুকুরদের লক্ষ্য করে তিনি ঢিল ছুড়ে মারলে মালিককে লাঠি, ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেন স্থানীয় পাঁচ যুবক। বৃহস্পতিবার রাতে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পূর্ব আনন্দপল্লির এই ঘটনায় ওই যুবক গুরুতর আহত হয়ে যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিরা ফেরার।
পুলিশ সূত্রের খবর, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পূর্ব আনন্দপল্লির বাসিন্দা দীনেশ প্রসাদ বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ পোষা কুকুরকে নিয়ে বাড়ি থেকে হাঁটতে বেরোন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ কুকুরটিকে নিয়ে বাড়িতে ঢোকার সময়ে রাস্তার তিনটি কুকুর ছুটে আসে। দীনেশবাবুর অভিযোগ, ‘‘রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি ঢোকার মুখে তিনটি রাস্তার কুকুর আমার কুকুরের দিকে তে়ড়ে আসে। সেই সময়ে আমি পথের কুকুরদের সরিয়ে দিতেই স্থানীয় পাঁচ যুবক আমার দিকে তেড়ে আসেন।’’ দীনেশ আরও বলেন, ‘‘রাস্তার কুকুরদের কেন ঢিল ছোড়া হল, তা নিয়ে পাঁচ যুবক মত্ত অবস্থায় বচসা জুড়ে দেন। গোলমাল শুনে বাড়ি থেকে বাবা, দাদা ও ভাই ছুটে আসেন।’’ শনিবার বিকেলে যাদবপুরের বেসরকারি হাসপাতালে বসে দীনেশ অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাবা, দাদা ও ভাইয়ের সামনেই রড দিয়ে তাঁর মাথায় সজোরে আঘাত করেন ওই যুবকেরা।
সেই সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন দীনেশের মেজদা মোহন প্রসাদ। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘হঠাৎ অর্পণ নামে স্থানীয় এক যুবক পকেট থেকে ছুরি বার করে ভাইয়ের পিঠে আঘাত করে। বাধা দিতে গেলে আমার বাবাকেও মারধর করা হয়। প্রায় পনেরো মিনিট তাণ্ডব চালানোর পরে ওঁরা এলাকা ছে়ড়ে পালান।’’ ঘটনার পরেই দীনেশকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তাঁকে যাদবপুরে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার সকালে দীনেশের পরিবারের তরফে রিজেন্ট পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অপর্ণ চক্রবর্তী, বিলবিল ও সুজয় হালদার ওরফে কেঁচো নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে।