আবর্জনার দুর্গন্ধে পথ চলাই দায়

ফুটপাথ আছে কিন্তু সেখানে দিয়ে চলাই দায়। কারণ, তার পাশে জমে থাকা আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। ছবিটি পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলের মেয়ো রোডের। মেয়ো রোড ধরে কলকাতা প্রেস ক্লাবের দিকে এগলেই ডান পাশে রয়েছে অনেকটা খোলা জায়গা। বসার কিছু জায়গা থাকলেও বেশিরভাগই ভাঙা। আর সেখানেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা। সুন্দর করে বাঁধানো ফুটপাথের পাশেই এই দুরস্থায় ক্ষুব্ধ পথচারিরা।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০০
Share:

নিরুপায় পথচারী। ছবি: রণজিৎ নন্দী।

ফুটপাথ আছে কিন্তু সেখানে দিয়ে চলাই দায়। কারণ, তার পাশে জমে থাকা আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। ছবিটি পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলের মেয়ো রোডের।

Advertisement

মেয়ো রোড ধরে কলকাতা প্রেস ক্লাবের দিকে এগলেই ডান পাশে রয়েছে অনেকটা খোলা জায়গা। বসার কিছু জায়গা থাকলেও বেশিরভাগই ভাঙা। আর সেখানেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা। সুন্দর করে বাঁধানো ফুটপাথের পাশেই এই দুরস্থায় ক্ষুব্ধ পথচারিরা। আর এর জেরেই বহু পথচারিকে রাস্তায় নেমে হাঁটতে হয় বলে অভিযোগ।

বালিগঞ্জের বাসিন্দা প্রলয় মজুমদার বলেন “বাসে করে গেলে বোঝা যায় না কিন্তু হেঁটে গেলেই বোঝা যায় কত নোংরা ও দুর্গন্ধময় ওই রাস্তা।” পথচারীদের অভিযোগ, নোংরা জমে থাকায় জায়গাটি কুকুর, বিড়ালেরা আস্তানা হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে খাবারের ফেলে দেওয়া অংশ নিয়ে কুকুর, বিড়াল গোটা ফুটপাথে ছড়ায়। সঙ্গে আছে ইঁদুরের উৎপাতও।

Advertisement

এর উপরে তীব্র দুর্গন্ধে পথ চলাই দায়। নাকে রুমাল চাপা না দিয়ে যাতায়াতই করা যায় না বলে অভিযোগ পথচারীদের। মেয়ো রোডে প্রায় সব সময়ই যান চলাচল করে। অনেকে দুর্গন্ধ এড়াতে এই ফুটপাথ ছেড়ে রাস্তায় নেমে হাঁটেন। এই রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে বাস ও গাড়ি চলাচল করে। ফলে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা সাধারণ মানুষের। পাশাপাশি এই জায়গাটি কার্যত উন্মুক্ত প্রস্রাবাগারে পরিণত হয়েছে। নোংরা জমে থাকায় বহু পথচলতি মানুষই এখানে প্রস্রাব করেন।

এই প্রসঙ্গে পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “ওখানে পুরসভার কোনও ভ্যাট নেই। যে যাঁর ইচ্ছে মতো জঞ্জাল ফেলছেন। ময়লা ফেলা বন্ধ করতে পুরসভা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন