মুখ বন্ধ রাখতে দোকানের মেঝে খোঁড়া মজুর থেকে স্থানীয় যুবক কয়েক হাজার টাকা বিলিয়েছিল সিকন্দর। একবালপুরে মা ও মেয়েদের খুনের তদন্তে নেমে এমনই দাবি পুলিশের। ঘটনায় বৃহস্পতিবারই স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ওয়াহিদ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। পুলিশ জানায়, শনিবার আরও এক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত নতুন কোনও গ্রেফতারের খবর মেলেনি।
গত রবিবার একবালপুরে একটি দোকানের মেঝে খুঁড়ে মা ও দুই মেয়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দোকানের মালিক মহম্মদ সিকন্দর ও তার তিন শাগরেদ গ্রেফতার হয়। পুলিশ জানায়, ২৯ মার্চ মা ও মেয়েদের খুন করার পরে মাটি খোঁড়ার মজুর খুঁজতে বেরোয় সিকন্দররা। পুলিশের দাবি, বিভিন্ন এলাকা থেকে মজুররা খিদিরপুরে কাজ খুঁজতে যান। বারুইপুর থেকে আসা তেমনই দু’জনকে ডেকে নেয় খুনিরা। ট্যাঙ্ক বানাতে মেঝে খোঁড়া হবে বলে নিয়ে যায়। কাজ শেষে দুই মজুরকে ১০০০ টাকা করে দেয় সিকন্দর। পুলিশ জানায়, খোঁড়ার কথা যাতে পাঁচ কান না হয়, তাই বেশি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এই টাকা মাটি খোঁড়ার কাজের বাজার দরের প্রায় তিন গুণ বলে পুলিশের দাবি। ইতিমধ্যে সেই মজুরদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তদন্তকারীরা।
ওয়াহিদকে জেরা করে স্থানীয় আরও দুই যুবকের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। তারাও খুনের ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য সিকন্দরের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালালেও এ দিন রাত পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেননি লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসারেরা। এখনও খোঁজ মেলেনি দোকানের মেঝে কংক্রিট করতে আসা মিস্ত্রিদেরও। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও কিছু তথ্যপ্রমাণ মিলতে পারে বলে মনে করছে লালবাজার।