গরহাজির ৯০ ভাগ কর্মী, ধরলেন পুর-কমিশনার

সময়ে অফিসে না-আসাটা যে কর্মীদের একটা বড় অংশের মধ্যে রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে, ফের তা মালুম হল কলকাতা পুর-প্রশাসনের। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিস্তর অভিযোগও উঠেছে। তবু ওই রেওয়াজ বদলায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৪ ০২:০৮
Share:

সময়ে অফিসে না-আসাটা যে কর্মীদের একটা বড় অংশের মধ্যে রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে, ফের তা মালুম হল কলকাতা পুর-প্রশাসনের। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিস্তর অভিযোগও উঠেছে। তবু ওই রেওয়াজ বদলায়নি। বৃহস্পতিবার এক অভিযানে বেরিয়ে গড়িয়াহাট বাজারে পুরসভার কয়েকটি দফতরে গিয়ে হাতেকলমে তা ধরে ফেললেন পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ। সেখানে চারতলায় গিয়ে তিনি দেখেন, পুরসভার লাইসেন্স ও কর বিভাগে কর্মরত প্রায় ৯০ ভাগ অফিসার ও কর্মী অফিসে নেই। এমনকী, ওয়ান ডে মিউটেশন দফতরও ফাঁকা। ঘড়িতে তখন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কর দফতরের চিফ ম্যানেজার ভাস্কর ঘোষও। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কমিশনার ওই দুটি দফতরের ঘরগুলিতে তালা ঝুলিয়ে দেন। এবং গরহাজির থাকা অফিসারদের শো-কজ করার নির্দেশ দেন। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে তালাবন্ধ ঘরের চাবি নিয়ে যান ওই দুটি বিভাগের কর্মীরা।

Advertisement

পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ জানান, নাগরিক পরিষেবার কথা ভেবে প্রতিটি অফিসে সময়ে হাজির থাকতে হবে সকলকেই। পুর-প্রশাসন এ ব্যাপারে যে কড়া, তা জানাতেই প্রায় শ’খানেক অফিসার ও কর্মীকে এ দিন গরহাজির থাকার কারণ জানাতে বলা হয়েছে।

গড়িয়াহাট বাজারে পুরসভার ওই দু’টি অফিসে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন নানা কাজে আসেন। কিন্তু অফিসার ও কর্মীরা সময় মতো না আসায় অনেকেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বলে নানা অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

গড়িয়াহাটের এক বাসিন্দা নীলাঞ্জন করের কথায়, “দেরি করে আসা নিয়ে ওঁদের কিছু বললেই বিপদ। যে বলবেন, সে দিন তাঁর আর কোনও কাজ হবে না। সেই কারণে চুপচাপ থাকতে হয় সবাইকেই।”

পুরসভা সূত্রের খবর, কমিশনারের নির্দেশে সেখানে কর্মরত লাইসেন্স বিভাগের ৬১ জনকে এ দিন শো-কজ করেন ওই বিভাগের চিফ ম্যানেজার সহেলী মুখোপাধ্যায়। আর কর-মূল্যায়ন বিভাগের প্রত্যেককে আলাদা ভাবে শোকজ না করে ওই দফতরের চিফ ম্যানেজার ভাস্কর ঘোষ পদস্থ অফিসারদের আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারের মধ্যে গরহাজির থাকার কারণ জানাতে বলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন