ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের একটি চিঠির জেরে ১৬ জন ছাত্রের ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখলেন জয়পুরিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি কলেজে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর দফতর থেকে ভুলবশত এক ছাত্রের শ্রেণি শংসাপত্র (কাস্ট সার্টিফিকেট) ভুয়ো বলে জানানো হয়েছে। ওই ছাত্র সত্যিই সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্ত।
জাল শংসাপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই কলেজে ১৬ জন ছাত্রের ভর্তি গত বুধবার বাতিল করেছেন কর্তৃপক্ষ। আগামী সোমবার কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট ওয়ানের ভাষা পরীক্ষা। ওই ১৬ জন পড়ুয়া সেই পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
কিন্তু মহকুমাশাসকের চিঠি পাওয়ার পরে কলেজ-কর্তৃপক্ষ ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রেখে ১৬ জনকেই পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছেন। কারণ, যে ছাত্রের বিষয়ে মহকুমাশাসক চিঠি পাঠিয়েছেন, তাঁর নামও ওই ১৬ জনের তালিকায় ছিল।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, “এর পরে হয়তো অন্য কোনও মহকুমাশাসকের দফতর থেকে একই রকম চিঠি এল। তখন কী হবে? ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি করার কোনও অভিপ্রায় তো আমাদের নেই। তাই আপাতত সকলের ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখে সকলকেই পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “অনেকগুলি শংসাপত্র ঠিক না ভুল, তা দেখার জন্য আমাদের দফতরে পাঠানো হয়েছে। শংসাপত্রগুলি বিভিন্ন বছরে দেওয়া হয়েছে। তাই হয়তো একটু গোলমাল হয়ে গিয়েছে।” তবে একটি সরকারি দফতর থেকে কী করে এমন ভুল হল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।