জোকায় জঞ্জাল অপসারণের নতুন পুর-পরিকল্পনা

সংযোজিত জোকা এলাকার জন্য জঞ্জাল অপসারণের উন্নতমানের ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করছে কলকাতা পুরসভা। এর আগে জোকার নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনাকে জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশনের (জেএনএনইউআরএম) অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৪ ০১:৩২
Share:

বদলাবে ছবিটি। —নিজস্ব চিত্র।

সংযোজিত জোকা এলাকার জন্য জঞ্জাল অপসারণের উন্নতমানের ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করছে কলকাতা পুরসভা। এর আগে জোকার নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনাকে জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশনের (জেএনএনইউআরএম) অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “পুর-পরিষেবার উন্নতির জন্য এই এলাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে জঞ্জাল অপসারণের কথা ভাবা হয়েছে। তবে নির্বাচনের কারণে এই কাজ আপাতত স্থগিত রয়েছে।”

বছর খানেক আগে জোকার সাড়ে বারো বর্গ কিলোমিটার এলাকা কলকাতা পুরসভার আওতায় আসে। তৈরি হয় ১৪২, ১৪৩ এবং ১৪৪নতুন তিনটি ওয়ার্ড। আগে এলাকাটি জোকা-১ এবং জোকা-২ নম্বর পঞ্চায়েতের মধ্যে ছিল।

Advertisement

পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, জঞ্জাল অপসারণ এখানকার অন্যতম সমস্যা। সম্প্রতি, পুরসভার জঞ্জাল দফতরের আধিকারিকরা এই সংযোজিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা জানান, এই অঞ্চলে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও ভ্যাট বা ময়লা ফেলার জায়গা ছিল না। যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকত। সেগুলি সময়মতো পরিষ্কার হত না বলে অভিযোগ।

এলাকাটি কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পরে পুরসভা জঞ্জাল পরিষ্কারের জন্য ৩০জন করে কর্মী নিয়োগ করেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় জঞ্জাল ফেলার জন্য পাত্রও রেখেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন নির্দিষ্ট পাত্রে ময়লা ফেলেন। পরে, এই পাত্রগুলি থেকে পুরসভার গাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহ করে সরাসরি ধাপায় নিয়ে ফেলে। তা ছাড়া সাফাইকর্মীরা নিয়মিত এলাকায় ঝাঁট দেন।

পুরসভা সূত্রের খবর, এখানে ভ্যাট রাখা অত্যন্ত জরুরি। ভ্যাটের জায়গা নির্দিষ্ট করতে না পারলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই আধুনিকমানের কম্পাক্টরের কথা ভাবা হয়েছে। জঞ্জাল অপসারণ দফতর সূত্রে খবর, জোকার জন্য জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে কম্পাক্টর কেনার ভাবনা রয়েছে।

অন্য দিকে, নিকাশির সংস্কারের জন্য লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই দরপত্র ডাকা হয়েছিল বলে পুরকর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। নিকাশি নালার অভাবে এখানে বৃষ্টির জল জমে থাকে। জল বেরনোর জন্য চড়িয়াল খালই একমাত্র পথ। কিন্তু পলি পড়ে এই খালের অবস্থাও খারাপ। পুরকর্তৃপক্ষ জানান, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া নিকাশির উন্নয়ন কার্যত অসম্ভব। প্রয়োজন বড় নালা এবং পাম্পিং স্টেশন। কিন্তু এই পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পুরসভার নেই। তাই এটি জেএনএনইউআরএম-এর আওতায় আনা হয়েছে। তবে কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ে জোকার নিকাশির উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন