আলিপুরে সরকারি জমিতে পাঁচিল দিতে গিয়ে কলোনির বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়েছিলেন পূর্ত দফতরের কর্মীরা। থানার ভিতরেই মার খেয়েছিল পুলিশ!
বুধবার জমিতে পাঁচিল দিতে গিয়ে বাধা পেলেন পুরসভার কর্মীরা! এ দিনের ঘটনাস্থল সেই আলিপুরেরই আর একটি কলোনি সংলগ্ন জমি। তবে এ দিনের গোলমালে কোনও কলোনির বাসিন্দার যোগ মেলেনি। গোলমাল থামাতে গিয়ে মার খায়নি পুলিশও।
পুলিশ ও পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিনের গোলমাল একটি সরকারি জমিতে শিশু উদ্যান করা নিয়ে। ওই প্রকল্পের ঘোষণা আগেই হয়েছে। জমিতে করা হয়েছে শিলান্যাসও।
কিন্তু এ দিন রাখালদাস গোয়ালা নামে এক ব্যক্তি লোকজন এনে জমিটি তাঁর বলে দাবি করেন। আইনি কাগজপত্র রয়েছে বলেও জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুরসভার কাজও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই সরকারি জমিটি উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের ছিল। ওই জমির লাগোয়া সূর্য সেনের নামাঙ্কিত একটি কলোনিও রয়েছে। সেই জমিতে খাটাল তৈরি করেছিলেন রাখালদাস গোয়ালা নামে এক ব্যক্তি। ২০০৬ সালে ওই জমি থেকে খাটাল উচ্ছেদ করা হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, খাটাল উচ্ছেদের পরে জমিটি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটিকে (কেএমডিএ) দেওয়া হয়েছিল। পরে তা কলকাতা পুরসভার হাতে আসে। জমিটি হাতে পেয়ে তাতে একটি শিশু উদ্যান তৈরির পরিকল্পনা করে পুরসভা। বছর খানেক আগে মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার সেই প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে পুরসভার একদল কর্মী উদ্যানের ওই জমিতে পাঁচিল দেওয়ার কাজ করতে গিয়েছিলেন। কাজ শুরু হওয়ার পরেই কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে ওই জমিতে হাজির হন রাখালদাস। পুরকর্মীদের কাজ বন্ধ করে দিতে বলেন তিনি। এ নিয়ে দু’পক্ষের গোলমালও শুরু হয়। গোলমালের খবর পেয়ে আলিপুর থানা থেকে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, জমির আইনি মালিকানার কাগজপত্র তাঁর কাছে রয়েছে বলে রাখালদাসবাবু দাবি করেছেন। সেই কারণেই জমির কাজে বাধা দিচ্ছেন তিনি। এই গোলমাল থামাতে পুলিশ পুরসভাকে আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। এ বিষয়ে মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “এই জমিটি উদ্বাস্তু পূনর্বাসন দফতরের। তারাই আমাদের ছাড়পত্র দিয়েছিল। আমরা সেই কাগজও পুলিশকে দিয়েছি। বাকিটা পুলিশ দেখবে।”