জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক যুবতীর শ্লীলতাহানি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার, ক্যানাল সাউথ রোডের ঘটনা। পুলিশ জানায়, কলকাতা পুরসভার ট্যাংরা এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর জীবন সাহা-সহ আট জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার শ্লীলতাহানি, ছিনতাইয়ের এফআইআর দায়ের হলেও শুক্রবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ জানায়, প্রগতি ময়দান থানা এলাকার ক্যানাল সাউথ রোডে একটি জমি-বাড়ি নিয়ে পারিবারিক গোলযোগ আছে। অভিযোগকারিণী ওই বাড়িরই সদস্যা। অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জীবন সাহা লোকজন নিয়ে ওই বাড়িতে যান। যুবতীকে তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। যুবতী অস্বীকার করলে তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যুবতীর অভিযোগ, মাটিতে পড়ে গেলে হামলাকারীদের এক জন তাঁর গলার হার ছিনিয়ে নেয়। তার পরে পালায় তারা। জীবনবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি সে দিন ঘটনাস্থলে ছিলাম না।” তবে তিনি জানান ওই বাড়ি নিয়ে পারিবারিক গোলমালের কথা তিনি জানেন।
এ দিকে, এ দিনই বিকেলে বোমাবাজির অভিযোগে তৃণমূল পঞ্চায়েতের এক সদস্যকে গ্রেফতারের দাবিতে বিকেল ৩টে থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দক্ষিণ শহরতলির নারকেলডাঙার বাসিন্দারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই এলাকায় সাহানারা বিবি (২৬) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী শেখ বরহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিন দু’য়েক আগে জামিনে মুক্ত হয়ে ফিরে আসে বরহান। এর পরেই স্থানীয়েরা জানান, বরহান এলাকায় থাকতে পারবে না। অভিযোগ, এ নিয়েই উত্তর রায়পুর পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সইফুলের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা শুরু হয়। শুক্রবার স্থানীয়েরা সালিশির জন্য সইফুলের বাড়িতে যান। সইফুল তাঁদের লক্ষ করে বোমা মারেন এবং গুলিও ছোড়েন বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এর পরই স্থানীয়েরা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ সইফুলকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। তবে রাত পর্যন্ত সইফুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।